স্বাধীনতার পর নজীরবিহীন ভাবে পালিত হল সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে “ইফতার মাহফিল”।

0
329

সুভাষ চন্দ্র দাশ, বাসন্তী : – প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী এলাকা পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।সেই পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষজন তৈরী করলেন এক নবতম ইতিহাসের অধ্যায়।চলছে রমজান মাস। রাত পোহালেই পালিত হবে পবিত্র ঈদ।সেই ঈদের প্রাক্কালে চুনাখালির সমস্ত মসজিদের সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ২৯ তম রোজা উপলক্ষে সর্বধর্ম সমন্বয়ে রবিবার সন্ধ্যায় চুনাখালি হাটখোলায় আয়োজিত হয়েছিল পবিত্র ‘ইফতার মাহফিল’। হিন্দু – মুসলমান-বৌদ্ধ – খ্রীষ্টান – শিখ সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের চাঁদের হাট বসেছিল ইফতার মাহফিল এর মহান অনুষ্ঠানে।যা স্বাধীনতার পর সুন্দরবনের বুকে নজীরবিহীন বিরলতম ইতিহাস।বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুসলমান ধর্মের ছাত্তার শেখ,মোফাক্কার হোসেন মল্লিক,খ্রীষ্ট ধর্মের ফাদার অরুপ বর,মহারাজ সুরত্যমা নন্দজি,বৌদ্ধ ধর্মের ধানতে জি সেরিং গুরুজী,বৈষ্ণব কার্তিক চন্দ্র বিশাল,সুদূর পাঞ্জাবের গুরুদুয়ার থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের রনজৎ সিং,সুরবত সিং।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্কর,সমাজসেবী বাপ্পাদিত্য নস্কর,মন্টু গাজী,নরেশ চন্দ্র নস্কর,রাজা গাজী,শিক্ষারত্ন শিক্ষক নিমাইমালি,শিক্ষক অমল নায়েক,চন্দ্রশেখর দেবনাথ সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষজন। এদিন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। তবে আলোচনার মধ্যে সকল ধর্মের বক্তার বক্তব্যে মূল বিষয় ছিল শান্তি – মৈত্রী – সৌভ্রাতৃত্ব।ফলে
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই! ফলে ধর্ম নিজের কাছে। কিন্তু মানুষকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। তবেই হবে প্রকৃত ধর্ম।এদিন অনুষ্ঠান শেষে নির্দিষ্ট সময়ে সর্বধর্মের হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে ইফতারে অংশ গ্রহণ করেন,যা সুন্দরবনের বুকে বিরল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here