সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং :-এক গৃহবধুকে বেধড়ক মারধর করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে।মৃত গৃহবধুর নাম অর্চনা হালদার(২২)।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার সকালে কুলতলি থানার অন্তর্গত ১ নম্বর মেরীগঞ্জ পঞ্চায়েতের কচিয়ামারা এলাকার কয়ালের চক গ্রামে। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মৃত গৃহবধুর স্বামী ও শাশুড়ি কে আটক করেছে জিঞ্জাসাবাদের জন্য।
স্থানীয় সুত্রে জানাগিয়েছে,বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেলেগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলা দোলতলা গ্রামের বাসিন্দা রবীন বৈদ্য। তাঁর চার মেয়ে ও এক ছেলে।বিগত প্রায় সাত বছর আগে দেখাশোনা করে তিনি তাঁর মেজো মেয়ে অর্চনা কে বিয়ে দিয়েছিলেন কুলতলি থানার অন্তর্গত ১ নম্বর মেরীগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের কচিয়ামারা এলাকার কয়ালের চক গ্রামের পলাশ হালদারের সাথে।
অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত টাকাপয়সার দাবী করে ওই গৃহবধুর ওপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার চালাতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন।মেয়ের ওপর যাতে করে কোন প্রকার অত্যাচার না হয় তার জন্য ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ি থেকে প্রতিনিয়ত টাকা পয়সা পাঠানো হতো।গত কয়েকদিন আগেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধুকে বেধড়ক মারধর করে।
ওই গৃহবধু বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ বৃহষ্পতিবার ভোর তিনটের সময় বেধড়ক মারধর করে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
এরপর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই গৃহবধু কে বৃহষ্পতিবার সকালে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
অন্যদিকে এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চলে আসে। সেখানে গৃহবধুর শাশুড়ি লক্ষ্মী হালদার ও স্বামী পলাশ হালদার কে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়।উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে।ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে চলে আসে ক্যানিং থানার পুলিশ। ওই গৃহবধুর স্বামী ও শাশুড়ি কে আটক করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি মৃত গৃহবধুর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য।
অন্যদিকে গৃহবধুর বাবা রবীন বৈদ্য ও মা বিজলী বৈদ্যরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে কুলতলি থানায় স্বামী পলাশ হালদার,শ্বশুর সঞ্জয় হালদার,শাশুড়ি লক্ষ্মী হালদার,দেওর পরিতোষ হালদার ও ওই গৃহবধুর জা সুজাতা হালদারদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ।