পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় দুদুবার পিছিয়ে গিয়েছিল চাষ,তার পরেও চাষ করে ফলন ভালো হলেও এবছর লাভের মুখ দেখছেন না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষীরা,মরসুম শেষের মুখে মাঠ থেকে ফসল উঠায় কপালে চিন্তার ভাঁজ তরমুজ চাষীদের। জানা যায় এই বছর চাষে ভালোফলন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষীরা, বিঘের পর বিঘে জমিতে তরমুজ চাষ করেও লাভের মুখ দেখছে না তরমুজ চাষীরা।প্রসঙ্গত,গ্রীষ্মকালীন সময়ে কাঠফাটা গরমে একটু তৃষ্ণা মেটাতে পারে তরমুজ আর সেই তরমুজ এখন রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছে।চন্দ্রকোনা থানার বড়আকনা, কালাকড়ি,মানিককুণ্ডু সহ চন্দ্রকোনার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই তরমুজ চাষ হয়।প্রত্যেক বছর এই এলাকার মানুষেরা জমি থেকে আলু উঠার পরেই জমিতে লাগিয়ে দেয় তরমুজ বীজ আর সেই তরমুজ বাজারে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা পাবার আশা করেছিল তরমুজ চাষীরা কিন্তু এই বছর তরমুজ চাষের ফলন ভাল হলেও,তরমুজ বীজের দামের তুলনায় তরমুজের দাম কম হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে না তরমুজ চাষীরা,কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষীদের।তরমুজ চাষীদের দাবি যেখানে ২৫০০-৩০০০ টাকা মূল্যে তরমুজ বীজ কিনতে হত,সেইখানেই এবছরের তরমুজ বীজের দাম আকাশছোঁয়া।তাঁদের ৩৬০০- থেকে ৪০০০ টাকা করে উচ্চমূল্য দিয়ে তরমুজ বীজ কিনতে হয়েছে তারপরও রয়েছে কীটনাশক ঔষধ সহ নানান দ্রব্য । এই বছর এই চাষ অনেকটাই পিছিয়ে গেছে গত প্রাকৃতিক বিপর্যয় জওয়াদের জন্য।ফলে গ্রীষ্মকাল পড়ার অনেক পরে তরমুজ চাষ হওয়ায় ফলনও হয়েছে মরসুম শেষের দিকে।এর জেরে এবছর চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষীরা সঠিক সময়ে বাজার ধরতে না পারায় পেরে এটাও লোকসানের অন্যতম কারণ বলে মত চাষীদের।চন্দ্রকোনার এইসব এলাকার তরমুজ প্রতিবছর গ্রীষ্মে পাড়ি দিত ভিন জেলাতেও।বর্তমান সময়ে তরমুজ পাইকারি প্রতি কেজি ৬ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি চাষীদের।এমন যদি চলতে থাকে তাহলে তারা তরমুজ চাষ বন্ধ করে দেবে বলে দাবি চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষী মহলের।
আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় দুদুবার পিছিয়ে গিয়েছিল চাষ,তার পরেও চাষ করে ফলন ভালো হলেও এবছর লাভের মুখ দেখছেন না চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষীরা।

Leave a Reply