সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – জেলে বসেই বিধায়ককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল দুষ্কৃতিরা। আর তা ফাঁস হতেই গত ১৮ মে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস।তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত কে ধরতে বারুইপুর জেলার পুলিশের স্পেশাল অপারেশান গ্রুপ ও ক্যানিং থানার পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে।সোমবার রাতেই
নরেন্দ্রপুর থেকে অভিযুক্ত চিরন ওরফে চিরঞ্জিত হালদার কে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।ঘটনায় আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হবে,এমনটাই জানালেন ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস।তিনি আরো বলেন অভিযুক্ত চিরঞ্জিতের নামে এর আগে ক্যানিং থানায় দুটি অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় মাতলা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি কমল মল্লিক কে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয় বেশ কয়েক মাস আগে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেল খেটেছে তিন যুবক। তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্য কে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এই হত্যার পেছনে দুর্ঘটনা না খুন তা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়। তারপরেই যুবকরা বেশ কয়েকমাস যাবৎ জেলে ছিলো । আর সেই জেলে বসেই বিধায়ককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক নিজেই। কারণ কমল মল্লিক কে গাড়িচাপা দিয়ে পালানোর সময় বিধায়কের লোকজনই ওই যুবকদের কে ধরে ফেলে। আর তাই আক্রোশ গিয়ে পড়ে বিধায়কের উপর।অভিযুক্ত যুবকরা আপাতত জামিন পেয়ে জেলের বাইরে। এদের সকলের বাড়ি ক্যানিংয়ে হলেও তারা কেউ ক্যানিং এলাকায় নেই। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভিন্ন এলাকায় পালিয়ে যায়। আর সেখান থেকেই এই ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে বিধায়ক বলেন, ঘটনার কথা পুলিশ জানিয়েছিলাম। পুলিশ একজন অভিযুক্ত কে ধরেছে।আশা করছি আর যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের কে পুলিশ ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জেলে বসেই বিধায়ককে হত্যার পরিকল্পনা!পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত।

Leave a Reply