১১ বছর বয়সী কিশোরীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য।

নদীয়া-শান্তিপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  ১১ বছর বয়সী কিশোরীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য, পরিবারের দাবি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। যদিও পুলিশকে কোনরকম খবর না দিয়েই ওই কিশোরীর মৃতদেহ সৎকার করার উদ্যোগ নেয় পরিবার, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে মৃতদেহ। ঘটনাটি শান্তিপুর হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাহেব ডাঙ্গা এলাকায়। সূত্রের খবর গতকাল সন্ধ্যাকালীন ওই এলাকার এক পরিবারে ১১ বছর বয়সী সামিনা খাতুন নামে এক কিশোরীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। পরিবারের দাবি, ওই কিশোরীর দিদির সাথে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়া হয়, তারপরেই ওই কিশোরী রাগ বসত ঘরের ভেতরেই গলায় ফাঁস দেয়। যদিও ওই কিশোরীর মা ও পরিবারের কেউই বাড়িতে ছিলেন না, বাড়িতে এসে দেখে ঐ কিশোরী ঘরের ভেতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এর পরেই ওই কিশোরীর মৃতদেহ টিকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে এবং পুলিশকে খবর না দিয়ে সৎকার করার ব্যবস্থা করে পরিবার। খবর পায় শান্তিপুর থানার পুলিশ, এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই অঞ্চলের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ওই পরিবারের আমি গিয়ে কিশোরীর মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করি। পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি ওই কিশোরী দিদির সাথে ঝগড়া করে রাগ বসত নিজে থেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়। তবে পুলিশ কে না জানিয়ে কিশোরীর মৃতদেহ সৎকারের চেষ্টা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রশ্ন করলে তিনি এও বলেন, ওই পরিবারটি খুবই দরিদ্র পরিবার তাই হঠকারিতায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ওই কিশোরী নিজে থেকেই আত্মঘাতী হল নাকি কিশোরীর মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি শুক্রবার কিশোরীর মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *