উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের প্রথম কোচবিহারের দিনহাটা শনিদেবী জৈন হাইস্কুলের ছাত্রী অদিশা দেব শর্মা।

0
217

মনিরুল হক, কোচবিহার: ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হল আজ। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য প্রকাশ করলেন এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফল। সংসদ সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্য সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শুরুতেই।
সংসদ সভাপতি জানান, এবারে মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬২। মোট পাশ করেছেন ৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৭৫। পাশের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। কোনও অসম্পূর্ণ ফল নেই। ৭ জেলায় পড়ুয়াদের পাশের হার ৯০ শতাংশ। তালিকায় শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। তাছাড়া তালিকায় আছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, কালিম্পং, বাঁকুড়া।
এবারের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন কোচবিহারের দিনহাটা শনিদেবী জৈন হাইস্কুলের ছাত্রী অদিশা দেব শর্মা। তিনি ৫০০-র মধ্যে পেয়েছেন ৪৯৮ নম্বর। শতাংশের নিরিখে ৯৯.৬ শতাংশ। দ্বিতীয় হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সায়নদীপ সামন্ত। পেয়েছেন ৪৯৭ নম্বর। শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪ শতাংশ। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছেন চার জন। রোহিত সেন, সোহন দাস, অভীক দাস এবং পরিচয় পারি। এঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে ২৭২ জন।
প্রসঙ্গত, এমনিতে করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় ২০২০ সালে পুরো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করা যায়নি। গত বছর কোনও পরীক্ষা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে যাবতীয় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধি মেনে পরীক্ষা নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। শুধু তাই নয়, করোনা পরিস্থিতির জেরে এই প্রথম ‘হোম সেন্টারে’উচ্চমাধ্যমিক হয়। তার জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। রাজ্য জুড়ে মোট ৬,৭২৭ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কড়া নজরদারিতে সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করেন সংসদ।
উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম খবর পাওয়ার পর দিনহাটা শনিদেবী জৈন হাইস্কুলের ছাত্রী অদিশা দেব শর্মা বলেন, খুবই ভালো লাগছে। ভালো রেসাল্ট হবে জানতাম, কিন্তু এতটা ভালো হবে ভাবিনি। মাধ্যমিকের পর ভালোবাসার বিষয়গুলোকে পেয়ে গেছিলাম। আর স্যারেরা ভীষণ ভালোভাবে পড়িয়েছেন। বাবা মা ও স্যারেরা ভীষণভাবে প্রেরণা জুগিয়েছে। তবে কেউ কখনো বলেনি যে র্যাং ক করতে হবে। শুধু ভালো করে পড়াশুনা করতে বলেছে। আমি খুব খুশি।
অদিশা আরও জানান, টিউশন বাদ দিয়ে ৫ ঘণ্টা পড়াশুনা করতাম। ৯ জন প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। ভবিষ্যতে কি করতে চাও জানতে চাইলে অদিশা বলে সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। পথসিশুদের দেখে টাড় খুব কষ্ট হয়। ভবিষ্যতে সে তাদের পাশে দাঁড়াতে চায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here