হাজারো আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে কলা বিভাগ থেকে ৪৫৬ নম্বর পেয়ে খাতড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করল হাসিনা ইয়াসমিন।

0
319

আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ এ যেন ঠিক ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো। মাটির দেওয়াল আর ত্রিপলের ছাউনী দেওয়া এক কুঠরী ঘরে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে গাদাগাদি করে বাস করে বাস করেন হাসিনা ইয়াসমিন। হাজারো আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে কলা বিভাগ থেকে ৪৫৬ নম্বর পেয়ে খাতড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছে সে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষায় এখন অর্থই ভাবাচ্ছে তাকে।

হাসিনা ইয়াসমিনের বাবা হোসেন আলি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপন ও প্রচারের কাজ করে সামান্য কিছু রোজগার করেন। মা করিমা বিবি বাড়িতে বসে সেলাই করেন। দু’জনের সম্মিলিত রোজগারেও সংসার ঠিক ঠাক চলেনা। ফলে নিজের পড়াশুনার খরচ চালাতে এই ছোট্ট বয়সেই প্রাইভেট টিউশান ও একটি কাপড়ের দোকানে কম্পিউটার বিল তৈরীর কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছে সে।

কৃতি ছাত্রী হাসিনা ইয়াসমিনের বাবা হোসেন আলি ও মা করিমা বিবিরা বলেন, মেয়ে ছোটো থেকেই পড়াশুনায় যথেষ্ট ভালো। কিন্তু অর্থাভাবে ঠিক ঠাক ‘গাইড’ করতে পারিনি। এখন ও নার্সিং পড়তে চায়। শুধুমাত্র অর্থের মেয়ের সেই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েই তারা যথেষ্ট চিন্তায় বলে তারা জানান।

হাসিনা ইয়াসমিন বলেন, বাবার পাশে দাঁড়াতেই পড়াশুনার পাশাপাশি একটি কাপড় দোকানে সামান্য বেতনে কম্পিউটার বিল তৈরীর কাজে যোগ দিয়েছি। তবে আমার স্বপ্ন নার্সিং ট্রেনিং শেষে গরীব আর্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াবো। তবেই সেই ইচ্ছে পূরণ আদৌ হবে কিনা তা তার জানা নেই বলেই সে জানায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here