হাইকোর্টের নির্দেশ মত চাকরি হারালেন নদিয়া জেলার ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  সোমবার রাজ্যের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মত প্রাথমিকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। তাদের মধ্যে নদিয়া জেলার ১৪ জনেরও চাকরি বাতিল হয়েছে। যদিও নিয়ম মেনে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন বলেই দাবি করেছেন নদিয়ার তাহেরপুর থানার সীম আইসতলার চাকরি হারানো শিক্ষক ননী গোপাল সরকার।
তার দাবি, ২০১৪ সালে তিনি টেট পরীক্ষায় দিয়েছিলেন। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর সেই মামলার রায় ঘোষণা হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র হাতে পান ননী গোপাল। সেইমতো তিনি ওই বছরই ১১ ডিসেম্বর কালিগঞ্জ থানার দেবগ্রামের কুঠুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
বর্তমানে আদালতের নির্দেশ মত চাকরি হারিয়েছেন ননী গোপাল সরকার। তার দাবি, আমার ডি এল এড কোর্স করা রয়েছে। পরীক্ষাও দিয়েছি। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ মতোই আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। অথচ এখন আদালত আমাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আগামী দিনে আমিও আদালতের দ্বারস্থ হব।
অন্যদিকে ১৪ জন চাকরি যাওয়া শিক্ষকের তালিকায় নাম রয়েছে তাহেরপুরের কালীনারায়নপুর মাঠপাড়ার বাসিন্দা রিঙ্কু বিশ্বাসেরও। যদিও তিনি এব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি।
ওই এলাকারই যুবক বিপ্লব বিশ্বাসের অভিযোগ, ২০১৪ সালে আমি টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম। সেই মতো ইন্টারভিউতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। অথচ পরবর্তীতে আমার চাকরি হয়নি। কিন্তু যারা ওই পরীক্ষায় ফেল করেছিল, পরে দেখি তাদের চাকরি হয়েছে। তারা সাড়ে চার বছর চাকরিও করেছেন। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ছে। যে কারণে এধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। আমি চাই প্রকৃত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *