বর্ষার শুরু আগেই বৃষ্টির জলে ভেসে গেলো ফালাকাটা ব্লকের গঙ্গামণ্ডল ঘাটের মুজনাই নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাকো।

0
209

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- কথায় আছে, নদীর পারে বাস, চিন্তা বারোমাস। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও ও জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকাকে আড়াআড়ি ভাগ করেছে মুজনাই নদী। বর্ষা এলেই জলের তোড়ে ভেসে যায় নদী পারাপারের অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো।এবছর বর্ষার শুরু আগেই বৃষ্টির জলে ভেসে গেলো ফালাকাটা ব্লকের গঙ্গামণ্ডল ঘাটের মুজনাই নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাকো। বর্ষা শুরু না হতেই বাঁশের সাঁকো ভেসে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন নদীর ধারে থাকা কয়েক হাজার মানুষ। তারপরই নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসীদের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই নৌকো। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকায় বিপজ্জনকভাবে ওই নৌকো চেপেই মুজনাই নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন দু’পরারের মানুষ। ওই নৌকোতে করে যেমন মানুষ, মালপত্র, সাইকেল, বাইক ইত্যাদি নিয়ে পারাপার করছেন গ্রামবাসীরা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “আগে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতাম। সেটি ভেঙে যাওযায় বাধ্য হয়ে শিশু সহ এলাকার লোকজন নৌকা দিয়ে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের এব্যাপারে কোনও হুঁশ নেই।” জানা গিয়েছে, অসংখ্য সাধারণ মানুষ প্রতিদিন জীবন জীবিকার তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কোন রকম যাত্রী সুরক্ষা ছাড়াই ওই নৌকো করে পারাপার করেন এখানে। যে কোনও মুহূর্তেই দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকছে বলে আশঙ্কা অনেকেরই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here