বনমহোৎসব উপলক্ষে ক্যানিংয়ে সূচনা হলো ট্যাবলো গাড়ি,সচেতনতার বার্তা পৌছে দেবে ১০ টি পঞ্চায়েত এলাকায়।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সুন্দরবন কে রক্ষা করা এবং ম্যানগ্রোভ রোপণ করার ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্পের কাজ করে জনসমকক্ষে তুলে ধরে সচেতনতার বার্তা দেওয়ার কাজ করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং ১ ব্লক প্রশাসন। ইতিমধ্যে ক্যানিংয়ে ম্যানগ্রোভ পরিচিতি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে,যেখানে সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ,মটগরাণ,ঝাঁটি গরাণ,গেঁওয়া,কালো বাইন,জাতবাইন,কেওড়া,গর্জন,ধুঁধুল,পশুর,খলসি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ রয়েছে। পাশাপাশি ভেটকি,খয়রা,পার্সে,ভাঙন,বাগদা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও লাউডগা,কালনাগিনী,বেতআছাড়,পদ্ম কেউটে সাপ রয়েছে। রয়েছে বেঁজি,ঘুঘু,মাছরাঙা,টুনটুনি পাখি।মূলত সুন্দরবন ভ্রমণের আগে এই ম্যানগ্রোভ পরিচিতি কেন্দ্র সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সুলুক সন্ধান দেবে। এছাড়াও সুন্দরবনের উপর গবেষণার জন্য উপযুক্ত পীঠস্থান ক্যানিং ম্যানগ্রোভ পরিচিতি কেন্দ্র। বনমহোৎসব সপ্তাহ উপলক্ষে সুন্দরবন কে রক্ষা করার জন্য এবার আরো বেশি করে উদ্যোগ গ্রহণ করলো ক্যানিং ১ ব্লক প্রশাসন।বনমহোৎসব উপলক্ষে একটি ট্যাবলো গাড়ির সূচনা করা হয় বুধবার।উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং মহকুমা শাসক প্রতিক সিং,ক্যানিং ১ বিডিও শুভঙ্কর দাস,বনদফতরের মাতলা রেঞ্জের আধিকারীক বিপ্লব ঘোষ,ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস,ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সভাপতি অনিমা মিস্ত্রী,মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হরেন ঘোড়ুই সহ অন্যান্যরা।
ট্যাবলো গাড়ি সূচনা করে ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক প্রতিক সিং বলেন ‘ট্যাবলো গাড়ির সূচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়।তাঁরা যাতে সুন্দরবন কে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেন এবং প্রকৃতির সম্পদ রক্ষা করে সবুজ পরিবেশ গড়ে তোলেন তারই বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন ‘সুন্দরবন কে রক্ষা করার জন্য সরকার যে ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চারাগাছ রোপণ করেছেন। সেই উদ্যোগেই আমরা সামিল হয়েছি।একদি যদি খাওয়া না ও হয় ভালো। কিন্তু সুন্দরবন সহ বন রক্ষা করা জরুরী। নাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্ধকারের পথে পা বাড়াবে।গাছ কি এবং কেন গাছ লাগানো জরুরী সে সম্পর্কে ক্যানিং ১ ব্লকের ১০ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারে এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহী হয় তার জন্য ট্যাবলো গাড়ি থেকে মাইকিং করে ১০ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বার্তা দেবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *