তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির বিষ্ণুবাড় ২ নম্বর অঞ্চলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট।

0
242

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট আর কয়েক মাস বাকি তারই মধ্যে এলাকা বেহালা রাস্তা অউন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির বিষ্ণুবাড় ২ নম্বর অঞ্চলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট ঘিরে টানটান উত্তেজনা। শুক্রবার সারাদিন অঞ্চল অফিস চত্বরে ছিল উত্তেজনা। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদর অনাস্থা প্রস্তাবে অনুপস্থিত সিপিএমের একজন পঞ্চায়েত সদস্য। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে পর্যাপ্ত পঞ্চায়েত সদস্য উপস্থিত না হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলো না তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির বিষ্ণুবাড় অঞ্চলের। গর্ত ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিষ্ণুবাড় অঞ্চলের মোট ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৬ জন এবং সিপিএম পঞ্চায়েত দখল করে ৫জন সদর। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বিষ্ণুবাড় অঞ্চলের উপপ্রধানিক অনিমেষ প্রামানিক ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখায়। এবার ওই অঞ্চলেরই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রতীকে জেতা অনিমেষ প্রামাণিক নেতৃত্বে সিপিএম পাঁচজন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন প্রধানের কৃষ্ণা মাইতির বিরুদ্ধে। আজ ওই অনাস্থা পস্তাবে সিপিএম সদস্য জয়দেব মন্ডল অনুপস্থিত থাকায় অনাস্থা প্রস্তাবৃত হলোনা। কৃষ্ণা মাইতি নিজের প্রধানের চেয়ার দখল করতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে এই অনাস্থা প্রস্তাব দিন অঞ্চল অফিসের দুই দিক সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দখলে ছিল। অঞ্চল অফিস থেকে বেরিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবক অনিমেষ প্রামানিক অভিযোগ করেন যে তৃণমূল ত্রিতরা সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য অনেক অর্থ কাছে মাথা নত করতে বাধ্য করিয়েছে তৃণমূল। এবং তাকে আটকে রেখেছিল তৃণমূলরা এমনই অভিযোগ করেন। পরে বিষ্ণু বাড় অঞ্চল অফিসে আছেন তমলুকের বিধায়ক মন্ত্রি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন গতকাল সিপিএমের সদস্য জয়দেব মন্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন সেজন্যই আজ অনাস্থা প্রস্তাবে সহমত প্রকাশ করেননি। এবং ওই অনাস্থা ভোটের বিরোধীদের সাহায্য করার জন্য বিষ্ণুবাড় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য মদন আচার কে দল থেকে পরিষ্কার করেন। সব মিলিয়ে এই অনস্তা ভোটে টানটান উত্তেজনা দেখা গেল অঞ্চল অফিস চত্বরে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here