স্বামী ও সতীনের অত্যাচারে মাথায় রক্ত ঝরলো বধুর।

0
224

ক্যানিং, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এক গৃহবধুকে বেধড়ক মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামী-সতীন ও সতীনের মেয়ের বিরুদ্ধে।রাতের অন্ধকারে এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙনখালির কলতলা এলাকায়।ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আজমীরা সেখ নামে এক গৃহবধু।
আক্রান্ত গৃহবধু কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাপের বাড়ির লোকজন। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই গৃহবধু ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ঘটনার বিষয়ে ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানাগিয়েছে,কাঁঠালবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ভাঙনখালির কলতলার বাসিন্দা ইসলাম সেখ। বছর চারেক আগে তার স্ত্রী তাসলি সেখ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়।মৃত্যু নিশ্চিত জেনে তার স্ত্রী প্রতিবেশী আজমীরার সাথে বিয়ে দেয় স্বামী কে। কয়েক মাস পর সুস্থ হয়ে ওঠে ইসলামের প্রথম স্ত্রী। অভিযোগ এরপর শুরু হয় আজমীরার উপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার।প্রতিনিয়ত স্বামী সতীনের অত্যাচার মুখবুজে সহ্য করতেন নিজের তিন বছরের সন্তানের মুখ চেয়ে। সোমবার রাতে সামান্য জল ফেলা কে কেন্দ্র করে স্বামী-সতীনের সাথে বচসা বাধে।অভিযোগ সেই সময় স্বামী-সতীন ও সতীনের মেয়ে নিহারা সেখ ওই গৃহবধু কে বেধড়ক মারধর করে বালতি ও বঁটির বাট দিয়ে। বালতির আঘাতে ওই বধুর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে।যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাৎরাতে থাকে। খবর পেয়ে রাতের অন্ধকারে দৌড়ে আসেন বাপের বাড়ির লোকজন। তারা ওই বধু কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জখম বধুর ভাই জয়নুদ্দিন জানিয়েছে ’প্রতিনিয়ত দিদির উপর অত্যাচার করতো ওরা। আজ বালতি ও বঁটির বাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ওরদের চরম শাস্তি চাই। ’
অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে বাসন্তী থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বধুর বাপের বাড়ির লোকজন।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here