অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে স্কুলে আসা চলবে না ছাত্র ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজ্ঞপ্তি জারি সোনামুখী বি জে হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।

0
183

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় মোবাইল ফোন প্রতিটা মুহূর্তে মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে খাদ্য ও পানীয়র মতোই অত্যান্ত জরুরী।
মোবাইল ফোন নেই এরকম ব্যক্তি বা মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া প্রায় দুষ্কর।
মোবাইলে যেমন বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড সেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে যেমন ভালো দিক আছে তেমনি এর খারাপ দিকটাও বারবার খবরের কাগজে হেডিং হয়। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে তো মোবাইল ফোন এখন মারাত্মক একটা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিভাবক থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বাঁকুড়ার সোনামুখী বি জে হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন চোংরে বলেন — ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা ও দায়বদ্ধতা যথেষ্ট অভাব লক্ষ্য করা গেছে ক্লাসের মধ্যে এর অন্যতম কারণ হাতে হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকাটা। ধরুন ক্লাসে শিক্ষক পড়াচ্ছেন অথচ পিছনের সারিতে বসে লুকিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইলে গেম খেলছে বা ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত আছে এরফলে পড়াশোনার প্রচন্ড ক্ষতি হচ্ছে।
ব্যাপারটা আমি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং আমার মনে হয়েছে মোবাইল ফোন স্কুলে নিয়ে আসা নিষিদ্ধ করলে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার প্রতি মনোনিবেশ করতে পারবে অন্যদিকে টিফিনের সময় কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে না, ছাত্র-ছাত্রীরা আবার আগের মতই খেলার মাঠে একটু খেলাধুল বা দৌড়ঝাঁপ করবে, এতে করে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর গঠন ভালো হবে তেমনি মনও বেশ উৎফুল্ল হবে যা পড়াশোনার ক্ষেত্রে খুবই দরকার। এইসব নানান দিক ভাবনার চিন্তা করেই শেষ পর্যন্ত আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে আসা নিষিদ্ধ করেছি।
অভিভাবক থেকে শুরু করে যারা ফেসবুক এ দেখেছেন তাদের ও সাক্ষাৎকারও উঠে এসেছে প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তের পক্ষে, তারা বলেন সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক এতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপকার হবে। ওন্দার এক যুব সমাজের কর্মী বলেন — এই ধরনের নির্দেশিকায় তিনি খুশি এবং এই নির্দেশিকা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুলে হওয়া উচিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here