কঙ্কাবতীর দুঃসাহস (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ নবম পর্ব) : দিলীপ রায়।

 বাজারসৌ স্টেশন চত্বরে  মনীষার  “চা-জল” খাবারের দোকান খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠলো । প্রথমদিকে খরিদ্দারদের “চা-বিস্কুট”  দিয়ে তার দোকানের পথ চলা  শুরু । তারপর এখন কচুরি ও পরোটা । সঙ্গে ঘুগনি, আবার কোনোদিন ছোলার ডাল অথবা আলুর তরকারি । ভোরে সাড়ে পাঁচটার ট্রেনের সময় তার দোকান খোলা । তারপর বেলা ১১টা পর্যন্ত  মাথা তোলার উপায় নেই । ভোরবেলায় চা খাওয়ার খরিদ্দার বেশী । একটু বেলা হলে কচুরির চাহিদা তুঙ্গে । এক হাতে কচুরি বেলা, অন্য হাতে ডুবো তেলে কড়াইতে ভাজা । তারপর পরিষ্কার প্লেটে  খরিদ্দারদের খেতে দেওয়া । খরিদ্দারের খাওয়া হয়ে গেলে সেই প্লেট গরম জলে ধোওয়া । তারপর খরিদ্দারদের কাছ থেকে পয়সা নেওয়া । সবটাই মনীষাকে সামলাতে হয় । কষ্টকর কাজ হলেও মনীষার তাতে ক্লান্তি নেই । চটজলদি কাজ করা তার জীবনের  অন্যতম স্বভাব ।
   সমস্যা হচ্ছে গণাকে নিয়ে । ভাল নাম গণপতি দাস । রোজ সকালে মনীষার দোকানে গণার হাজিরা । দোকানে ঢুকে অনেকক্ষণ বসে থাকা তার স্বভাব । তার আগমন মোটামুটি সকাল দশটা নাগাদ । কখনও এগারোটা ।  দোকানে পৌঁছেই বাবুর চা চাই । চায়ে  হাল্কা চিনি, চায়ে আদা, নানান বাহানা । মনীষা বিরক্ত হলে প্রয়োজনে নিজের চা নিজে বানিয়ে নিতেও কুন্ঠাবোধ  করে না । শুধু কী তাই ! অনেক সময় দোকানে ভিড় জমলে মনীষার হাত থেকে খাবারের  প্লেটগুলি কেড়ে নিয়ে গণা খরিদ্দারদের মধ্যে পরিবেশন করে । তাতে মনীষার কাজটা হাল্কা হয়  । কিন্তু এই জাতীয় আদিখ্যেতা মনীষার ইচ্ছা বিরূদ্ধ - তার কাজ বাইরের অন্য কেউ করুক । গণা এমনভাবে মনীষার পিছে লেগে থাকে, তাকে বললেও  শোনে না । রেগে বকাঝকা করলে, সেই মুহূর্তে স্থান ত্যাগ করবে ঠিকই  কিন্তু পরক্ষণেই দোকানে এসে দাঁত বের করে তার এক গাল  হাসি ! তারপর গণার চোখে মুখের দিকে তাকালে মনে হবে, বিশ্ব জয় করে তার পুনরায় আবির্ভাব ।    
    দোকান খোলার মাস কয়েক যেতেই খুব ভোরে মনীষার দোকানে ঢুকে গণার অর্ডার, “প্রাতঃকালীন হাঁটা ও দৌড়ে হাঁপিয়ে গেছি । এক কাপ চা দেবেন প্লীজ । কিন্তু পকেটে পয়সা নেই । তবে কথা দিলাম, আপনার চায়ের পয়সা মার যাবে না । ঠিক সময়ে আজই পেয়ে যাবেন ।“  মনীষা কিছু বলতে চাইছিলো, ঠিক সেই মুহূর্তে গণা মনীষাকে বাঁধা দিয়ে বলেছিল, “বাবা-মা আমাকে কুঁড়েমির ঢেকি বললেও, ধার-বাকী জিইয়ে রাখতে এই বান্দা গররাজী ।“ 
        এরপর সেদিন দুপুর ঠিক দুটোর সময় হঠাৎ হাজির । দুটোর সময় বা বিকেলে কখনও সে দোকানে আসে না । পয়সা ফেরত দেওয়ার তাগিদ থাকায় তার অসময়ে আগমন ।  সেই সময় মনীষা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলো । তাই গণার দিকে তাকিয়ে অনুরোধ করে বলেছিল, “আপনি একটু বসুন, খাবার খেয়ে সকালের চায়ের দামটা  নিচ্ছি ।“ 
       বসার পরে শুরু হয়েছিল গণার বকবকানি । কতো কথা । কলেজে যেতে তার ভাল লাগছিল না । সেইজন্য কলেজে পড়াশুনার মাঝপথে বিদায় ! তারপর থেকে খায়-দায় ঘুরে বেরায় । বাড়িতে বাবার খ্যাঁচ খ্যাঁচানি এড়াতে বাড়ির বাইরে থাকতে তার বেশী পছন্দ । কিন্তু সেখানেও বিধি বাম । পয়সা ছাড়া কোনো দোকানে  এক দণ্ড বসার উপায় নেই । দোকানে গেলে জিনিস কিনতে হবে, নতুবা দোকানের  জায়গায়  বসে থাকলে চলবে না । বন্ধুদের  আড্ডায় বসলে তাদের নিয়মিত “চা-টা” খাওয়াতে হবে । এটা নাকি আড্ডায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রতিদিনকার ট্যাক্স ।  নতুবা আড্ডা থেকে নাম বাতিল । আরও কতো কী ? মনীষা সেগুলি এক  কান দিয়ে শুনছিল, অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়েছে  । কেননা দোকান চালিয়ে খাটাখাটুনির যেমনি শোনার ধৈর্য্য নেই, তেমনি  গণার খাস গল্প শোনার এক ফোঁটা  আগ্রহ নেই । তারপর থেকে গণা প্রতিদিন নিয়ম করে মনীষার দোকানে হাজিরা । একটা বিষয়ে সে পুরো মার্ক পাবে, সেটা হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতায় । ঘড়ির কাঁটা ধরে মনীষার দোকানে হাজিরা । সকাল দশটা নতুবা এগারোটা । গণাকে প্রতিদিন মনীষার দোকানে বসে থাকতে দেখে  ইতিমধ্যে স্টেশন বাজারের  মিষ্টির দোকানদার মনীষাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “ঐ অকর্মার ঢেঁকিটা তোমার দোকানে সারাক্ষণ বসে থাকে কেন ?” 
     উত্তরে মনীষা বলেছিল, “ছেলেটা অকর্মার ঢেঁকি হলেও তার মধ্যে মনুষ্যত্ব যথেষ্ট ।  ঠিক মতো সুযোগ পেলে কর্মার ঢেঁকি হতে বাধ্য ।“ 
      “তুমি বরং ওকে তোমার দোকানের কাজ লাগিয়ে দাও। তারপর দেখো  কর্মার ঢেঁকি হয়ে  ওঠে কিনা ?”  মনীষাকে ঠেস দিয়ে কথা শুনিয়ে তিনি নিজের কাজে  চলে গেলেন ।  
       মানুষের অহেতুক বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচতে মনীষা ভাবছে গণাকে কীভাবে তার দোকানে আসা বন্ধ করা যায় ? যদিও গণা যতক্ষণ দোকানে থাকে, ততক্ষণ  মনীষার কাজে সবরকম সহযোগিতা করে । গণাকে এর আগে কয়েকবার গালিমন্দ করেছিল বটে, কিন্তু কাজ হয়নি । গণা মুখে কিচ্ছুটি বলে না, কিন্তু পরেরদিন আবার ঠিক সময়মতো দোকানে হাজির । এটা তার এক ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ।  এবার মনীষা ভাবছে, গণার খোঁজ খবর নেওয়া দরকার ! গণার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সে কিছুই জানে না । অথচ অনেকদিন থেকে দোকানে আসছে । সকালের দিকে গণা যখনই দোকানে ঢোকে, তখন দোকানে খরিদ্দারদের প্রচণ্ড ভিড় । সেই সময় কচুরি বেলা এবং ভাজা, তারপর প্লেটে ভরে তরকারি দিয়ে খরিদ্দারদের মধ্যে পরিবেশন করা । পয়সা নেওয়া । প্রয়োজনে উনুনে ঠিকমতো কয়লা দিয়ে উনুনে  আগুন প্রজ্জ্বলিত রাখা । তখন মনীষার ব্যস্ততা চরমে । চরম ব্যস্ততার মুহূর্তে সাহেবের পদার্পণ ঘটে । তখন মনীষা দোকান সামলাবে, না তার সঙ্গে বসে দু-দণ্ড আলাপ-চারিতা করবে ? পরে আসতে বললে সাহেবের আবার গোসা ! তার নাকি সময় নেই । বিকেলে ও সকালে তার ছাত্র পড়ানোর হিড়িক । যার জন্য এতদিন দোকানে “যাওয়া-আসার” পরও মনীষার গণার সম্বন্ধে বা তার বাড়ির হালহকিকতের খবর নেওয়া হয়নি । এখন মনীষা বুঝতে পারছে, গণা সম্বন্ধে তার খোঁজখবর অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিলো । কেননা মনীষার বাস্তব  উপলব্ধি, “গণা ক্রমশ তার হৃদয়ে অনেকখানি জায়গা করে দখল করে নিয়েছে ।“  তাই মনীষার নিজের ভাললাগা থেকে,  মাঝে মাঝে গণার দিকে মনীষা এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে । ইচ্ছা করে গণাকে কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখে । যাতে গণাকে বেশী সময় কাছে রাখা যায় ! গণাও হাসিমুখে মনীষার দেওয়া কাজ সম্পাদন করে । কাজের ক্ষেত্রে গণার এতটুকু নালিশ বা অভিযোগের তাপ-উত্তাপ নেই । বরং খুশীমনে মনীষার কাজগুলি করতে পারলে গণা নিজেকে ধন্য মনে করে । 
   “শোনো গণা, আজ বিকেল চারটের পর তোমাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে ।“ খানিকটা কড়া মেজাজে মনীষা খরিদ্দারদের ভিড়ের মধ্যে গণাকে বলল । 
     “সেই সময় ৫টা থেকে আমার টিউশিনি রয়েছে ।“ গণা বলল ।
     মনীষার বক্তব্য, “টিউশিনির ছাত্রদের ছুটি দিয়ে দাও । একদিন ছুটি নিলে, ছাত্রদের বাড়ি থেকে তোমাকে কেউ কিচ্ছু বলবে না ।“ 
      কিন্তু গণা বোঝাতে চাইল, বিকেলে তার পক্ষে আসা সম্ভব না । 
     “আমি জানি না, আমার কথা রাখার জন্য তোমাকে টিউশনি বন্ধ রেখে আসতে হলেও আসতে হবে । সেই সময় খরিদ্দারও হাল্কা থাকে । তোমার সঙ্গে কথা বলা যাবে । কেননা তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে !“  মনীষা চাপ দিলো । 
     “এখন কথাটা বললে বিকেলে আমাকে আর আসতে হত না ।“ গণা মনীষাকে কাতর কন্ঠে বলল । 
    “আহাম্মকের মতো কথা বলছো কেন ? নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছো, এই সময় আমি খরিদ্দার সামলতে হিমসিম খাচ্ছি । কথা বলার এক মুহূর্ত সময় নেই ।“ মনীষা রাগে  কথাগুলি বলল । 
     “বলবে তো, দরকারটা কী ?” গণা মনীষাকে জোর দিলো । 
     তখনই জানতে পারবে ।“ মনীষা উত্তরে মুচকী হেসে বলল
     “ঠিক আছে, ম্যাডাম  ।“ উত্তর দিয়েই গণার বাড়ির দিকে ধাওয়া । বাড়ি যাওয়ার তাড়া  । অন্যদিকে  মনীষা দোকানের খরিদ্দার সামলাতে কাজে মন দিলো ।

      দুপুরের খাওয়া শেষ হতে বেলা গড়িয়ে প্রায় তিনটে । তারপর মনীষা ক্যাশ বাক্সের পাশে গালে হাত দিয়ে বসে ভাবছে । ছেলেটার প্রথম যেদিন দোকানে পদার্পণ,  সেদিন থেকে মনীষার মনে গণা একটু একটু করে জায়গা দখল করে নিয়েছে । তাকে অহরহ গালিগালাজ করলেও গণা সেই গালাগালি কখনও গায়ে মাখেনি । বরং মনীষার সমস্ত অন্যায়গুলি গণা হাসিমুখে এড়িয়ে গেছে । কাজের ব্যস্ততার সময় মনীষার যাতে পরিশ্রমের লাঘব ঘটে, গণা সেই সময় তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । এমনকি কড়াই, খাওয়ার প্লেট, জলের গ্লাস, খাওয়ার টেবিল, ইত্যাদি হাসিমুখে পরিষ্কার করেও দিয়েছে । বিনিময়ে কখনও কিছু দাবি করেনি । তার আন্তরিকতা আর পাঁচটা ছেলের থেকে আলাদা । বাজে নেশা নেই । বাজে আড্ডা তার না-পসন্দ । বাড়ি থেকে সোজা মনীষার দোকানে । দোকানে ঢুকেই প্রথমে এক কাপ চা । খবরের কাগজ পড়তে পড়তে চা খাওয়া । তারপর ফ্রী । চুপচাপ বসে না থেকে টুকটাক দোকানের কাজে মনীষাকে সহযোগিতা । মাথার উপরে সূর্য উঠলেই তার বাড়ি যাওয়ার তাড়া । তখন শত চেষ্টা করেও আটকানো যেতো না । তার মনটা ভীষণ পরিষ্কার । গণা যেমন শরীর স্বাস্থ্যে  সতেজ  জওয়ান ! তেমনি মনীষা পূর্ণ যৌবনা । অথচ একদিনের জন্যও মনীষাকে উত্ত্যক্ত করেনি । এমনকি কোনোদিনও বলেনি তার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে । যতো দিন যাচ্ছে, মনীষার হৃদয়ে গণা স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে বসছে  ঠিক হাঁটু গেড়ে বসার ন্যায় । তাই মনে মনে মনীষা গণাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছে । একটাই সমস্যা, হাঁদারাম কোনো কাজকর্ম করে না ।  কাজকর্মের ব্যাপারে গণার সম্বন্ধে অনেক কিছু জানার আগ্রহ ? মনীষা শুধু জেনেছে কলেজে ভর্তি হয়েছিল, কিন্তু কলেজের শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রেখে বাড়ি বসে ভেরেন্ডা ভাজছে !
       ঘড়িতে কাটায় কাটায় ঠিক চারটে !
       বাবু এসে হাজির । মুখে এক গাল হাসি, “আর একটু হলেই বাবার খপ্পরে পড়ে যেতাম । তাহলে তোমার এখানে আসার বারোটা বেজে যেতো !” 
       বাবার খপ্পরে পড়লে কী হত ?
       তুমি এখানে বসে আন্দাজ করতে পারবে না ? তাঁর সামনের টেবিলে কম করে আঠারো-উনিশটা শাড়ি । সকালে কেচে শুকানো । এখন আইরণ হবে । বাবা ডকার কারণ হচ্ছে, আমাকে ঐ শাড়িগুলি ভাজ করার জন্য ধরতে হবে । শাড়ির এক পাশে বাবা এবং অন্যপাশে গণা ধরে শাড়িটা  এমনভাবে ভাজ করবে  যাতে বাবা সেই শাড়িগুলি ভাজে ভাজে ইস্ত্রী করতে পারেন । কেননা শাড়িগুলি সন্ধ্যাবেলায় ডেলিভারি দেওয়ার কথা !
       এই কথা শুনে পাল্টা গণাকে দোষারোপ করে বলল, “আমার সাথে একদিন পরে দেখা করলেও চলতো । আগে তোমার বাবার কাজ  ! তাঁর কাজে সহযোগিতা করা উচিত ছিলো । আর তা ছাড়া .........?” 
      তা ছাড়া, আবার কী  ?
       তা ছাড়া তোমরা ধোপা সম্প্রদায়ের মানুষ, আগে কখনও বলোনি তো ?
      “বলার সময় কোথায় ? তুমি দোকান সামলাবে, নাকি আমার সঙ্গে ফালতু গল্প গুজবে আড্ডা দেবে  ?”  গণা বেশ অভিমানের সুরে কথাটা বলল । 
       তারপর আবার গণা শুরু করলো, “এবার বলো তো, আমাকে আর্জেন্ট কীজন্য তলব ?”
      সে কথা পরে হবে । তুমি এখন বাড়ি ফিরে যাও, বাবার কাজে সহযোগিতা করো । তিনি এতক্ষণ শাড়িগুলি নিয়ে কষ্টের মধ্যে রয়েছেন । তিনি শাড়িগুলি সন্ধ্যার সময়  খরিদ্দারকে ডেলিভারি দেবেন,  কথা দিয়েছেন । সেইক্ষেত্রে তাঁর মাথায় বিশাল দায়িত্ব । ছেলে হয়ে বাবাকে ঐরূপ কষ্টের মধ্যে ফেলে আসা ঠিক হয়নি । তুমি বরং আজ বাড়ি ফিরে  যাও !
   তোমার মহিমা আমি বুঝি না । তখন চোখ গরম করে আমাকে হাজিরা দিতে বললে, অথচ এখন আমাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছো !
    হ্যাঁ দিচ্ছি । কারণ তোমার বাবা মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন । “তোমার সঙ্গে আমার কথা বলাটা” এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়, সুতরাং আমরা পরের দিন একসঙ্গে বসে কথা বলবো এবং বিকেলে মুড়ি-বাদাম সহযোগে চা খাবো । 
     “যথা আজ্ঞা !” বেজার মুখে শব্দ দুটি উচ্চারণ করে পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা দিলো । আবার ফিরে এসে মনীষার ঠিক কানের কাছে তার মুখটা নিয়ে গণা বলল, “বাবার অসুবিধাটা বোঝার জন্য তোমাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ ।“ কানের কাছে গণা মুখটা ঐভাবে বাড়ানোর জন্য মনীষা চমকে উঠেছিলো ! হাঁদারামটা করছে কী । শেষে কিনা গালে...? তারপর সম্বিৎ ফিরে পেয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে গণার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মনীষা সুন্দর একটি অর্থপূর্ণ হাসি দিলো ।  তারপর গণার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো ।  
    দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)
                                                        (চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *