মনিরুল হক, কোচবিহারঃ বাংলা দুর্গাপুজোকে ‘আবহমান ঐতিহ্য’-এর তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। তাদের ধন্যবাদ জানিয়েই বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে সারা রাজ্যের সাথে সাথে কোচবিহার জেলাতেও শোভাযাত্রা করা হয়। এদিন কোচবিহার শহরের রাসমেলা মাঠ থেকে ওই শোভাযাত্রা শুরু হয়। গোটা শহর পরিক্রমা করে কোচবিহার দেবীবাড়িতে ওই শোভা যাত্রার সমাপ্তি হয়। ওই শোভাযাত্রায় দশভুজার অসুর নিধন ট্যাবলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। রাস্তায় দুইধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন অজস্র মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বহু মানুষ সেই শোভাযাত্রা দেখেছেন। তবে আবেগ ছিল। সেই আবেগ ধরা পড়ল বৃহস্পতিবারের পদযাত্রায়। শহরবাসী থেকে আদিবাসী, বিধায়ক, নেতা, সরকারী আমলা থেকে ছাত্র-ছাত্রী—আবেগ মিশল সকলের। মিছিলের কোথাও ধামসা-মাদল নিয়ে নাচ। ছিল দুর্গামূর্তিও। কোথাও আবার ধুনুচি নাচ। আর সব ছাপিয়ে দুর্গাপুজোর আবশ্যিক অনুষঙ্গ ঢাকের আওয়াজ।সঙ্গে লাউডস্পিকার থেকে ভেসে-আসা পুজোর গান।
এদিন ওই শোভা যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক পবন কাদিয়ান, কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া, পরেশ অধিকারী, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়, কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ, শুচিস্মিতা দেবশর্মা আরও বহু জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন দুর্গা পূজা কমিটি, ক্লাব সদস্য, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়ে ছিলেন এই শোভাযাত্রায়।
দুর্গা পূজায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল কোচবিহারে।

Leave a Reply