প্রথম শুনানিতেই মালদা জেলা শাসককে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- প্রথম শুনানিতেই মালদা জেলা শাসককে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট।জানা যায়,হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস নেতা মহম্মদ সেকিল হোসেন গত ১৪ জুলাই(২০২২) কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপ-প্রধান,
সুপারভাইজার ও পঞ্চায়েত সদস্য সহ সহায়ক
কর্মীর নামে ১০০ দিনের কাজে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন।মঙ্গলবার ছিল প্রথম শুনানি।কলকাতা হাইকোর্ট নোটিশ দিয়ে মালদা জেলা শাসককে মামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলাকরী সাকিল জানান,কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আক্তারি খাতুন ও তার স্বামী আব্দুল রশিদ এবং উপ প্রধান মহম্মদ নুর আজমের যোগসাজশে সুপারভাইজার,পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত সহায়ক ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ না করে ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়ে ১০ কোটি টাকা তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ।এমনকি অবৈধভাবে টেন্ডার পাশ করারও অভিযোগ রয়েছে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে নবান্ন পর্যন্ত অভিযোগ করেও যখন কোনো কাজ হয়নি তখন বাধ্যতামূলক কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়।এতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।জেলা শাসক প্রথম দিকে একটি রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিলেও পুনরায় মামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মহম্মদ নুর আজম জানান,সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন।তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিরোধীরা হাইকোর্টে মিথ্যা মামলা করেছে।প্রশাসন তদন্ত শুরু করলে সবরকমের সহযোগিতা করবেন।

চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লল রায় জানান,এখন পর্যন্ত হাইকোর্টের নোটিশ হাতে পাইনি। হাতে পেলেই তদন্তে নামবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *