এখনো খুব ধুমধামের সঙ্গে হয়ে আসছে সেন বাড়ির পুজো।

0
438

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—ইংরেজবাজারের কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোতুয়ালি এলাকায় রয়েছে সেন বাড়ি।সেন বাড়ির এই পুজোর শুরু হয় বর্ধমানের শিখন্ডী কাটোয়া এলাকায়। পরবর্তীতে সেই পুজো রঘুনন্দনবাবুর উদ্যোগেই মালদার কোতুয়ালিতে নিয়ে আসা হয়। এখনো খুব ধুমধামের সঙ্গে হয়ে আসছে এই পুজো।পূজোর কটা দিন ভোজনেরও আয়োজন করা হয়। সেন বাড়ির আত্মীয়-স্বজনেরাও পুজোর দিনগুলিতে দূরদূরান্ত থেকে এসে সামিল হন কতুয়ালিতে।

সপ্তমীর সকালে পালকিতে কলা বউকে নিয়ে যাওয়া হয় মহানন্দা নদীর ঘাটে। সেখান থেকে কলা বউকে স্নান করিয়ে ঘটে জল ভরে নিয়ে আসা হয় মায়ের মন্দিরে। আর তারপরেই শুরু হয় ধুমধাম করে দেবী দুর্গার আরাধনা। প্রায় ১৬৮ বছরের পুরনো কোতুয়ালি সেন বাড়ির দূর্গা পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে। আগে পুজো হতো বর্ধমানের শিখন্ড কাটোয়া এলাকায়। সেন বাড়ির পূর্বপুরুষের হাত ধরেই প্রায় ১৬৮ বছর আগেই বর্ধমান থেকেই দেবী মায়ের বেদী নিয়ে আসা হয় মালদার কোতুয়ালিতে।
পুজোর বিশেষত্ব  অষ্টমীতে কুমারী পুজো এবং দশমীতে দেবী দুর্গাকে নৌকায় বসিয়ে হয় বাইচ প্রতিযোগিতা। যা দেখতে গ্রামের বাসিন্দারা ভিড় করেন মহানন্দা নদীর ঘাটে। বিগত দিনে কোতুয়ালি সেন বাড়ির দুর্গা পূজায় সামিল হতেন প্রয়াত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গণিখান চৌধুরীর। কোতুয়ালির সেন বাড়ির পুজোকে ঘিরে নানান ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সেন বাড়ির কর্তাদের কথায়, বাড়ির এই পুজো আজও সম্প্রীতির ঐক্য বহন করে চলেছে। একসময়  বন্দুক ফাটিয়ে শুরু হতো সন্ধি পুজো । বর্তমানে সপ্তমীর সকালে পালকিতে করে কলা বউকে নিয়ে যাওয়া হয় মহানন্দা নদীর ঘাটে। তার সঙ্গে পরিবার এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও করা হয়। দশমীতে দেবী দুর্গাকে নৌকায় চাপিয়ে মহানন্দা নদী ঘোরানো হয় । আর সেই উপলক্ষে সেখানে বসে বিশাল মেলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here