নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- আজ নদীয়ার শান্তিপুর ডাকঘর পাড়া মসজিদে পূর্বনির্ধারিতভাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়াকফ বোর্ডের দুইজন প্রতিনিধি আসেন মসজিদের দুটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান করতে। ২০২১ সালে ওই মসজিদ কমিটি মেয়াদ শেষ হলেও, প্রাক্তন মতুয়াল বুলবুল ইসলামের সাথে ওই কমিটির দুই সদস্যর বচসা বাধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। ওয়াকফ বোর্ডের দুই সদস্য ঘটনাস্থল ছেড়ে রওনা দেন।
প্রাক্তন বোর্ডের সদস্য মিন্টু আলী বলেন , বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কর্তৃত্ব ফলিয়ে বুলবুল ইসলাম এবং তার পাঁচ ভাই মসজিদ কমিটির সম্পত্তির ভোগ দখল করে চলেছে এখনো, মসজিদের ভাড়া দেওয়া দোকানদারদের সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেছে, কমিটির হিসাবে বেশ কিছু গরমিল পাওয়া গেছে, আর্থিক দুর্নীতির বিভিন্ন বিষয় আজ ওয়াকফ বোর্ডের দুই সদস্যকে জানাতে গিয়েছিলাম। তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয় ছেলেদের মধ্যে, মহিলারা মসজিদের মধ্যে ঢুকে জুতো ছুড় ছিলো আমাদের লক্ষ্য করে তখনই ছেলেরা তারা করতে গিয়ে হয়তো উনি পড়ে গেছেন তবে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, এমনকি উনার স্ত্রী শবনম বেগম নিজের কাপড় নিজেই ছিড়ে শ্রীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ দিতে এসেছে শান্তিপুর থানায়।
অন্যদিকে বুলবুল ইসলাম বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কমিটি ঘোষিত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে যায় পুরনো কমিটির, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদেরকে ওয়াকফ বোর্ড থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আজকে মসজিদে উপস্থিত থাকার জন্য। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে এলাকারই মিন্টু মন্ডল টিটু মন্ডল আনসার আলী রাজা শেখ মিন্টু আলী। দীর্ঘদিন ধরে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে আমাদের
সাইকেল ছুঁড়ে আমাকে মারে, বাদ দেয়নি স্ত্রী এবং অন্যান্য মহিলাদেরও মারধোর করতে। ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য রা জানিয়েছেন তারাও এ বিষয়ে আমাদের পাশে আছে, কারণ তাদের চোখের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা ওয়ারকফ বোর্ডের দুই তদন্তকারী প্রতিনিধির সামনেই মসজিদ কমিটির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি,...