জল নেই যার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে পদ্মফুলের গাছগুলি, হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকে বিভিন্ন এলাকার পদ্ম ফুল চাষীদের মুখ ভার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- – – বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব মানেই দুর্গাপূজা, আরে এই দুর্গা পূজা আসতে হাতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ,তারপরেই মেতে উঠবে দুর্গা উৎসবে, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে মন্ডপ ও প্রতীমা তৈরি কাজ চলছে জোরকদমে।আর দূর্গা পূজা মানে পদ্ম ফুল দুর্গা পূজায় পদ্মফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ। সন্ধি পুজোতে ১০৮ টা পদ্ম ফুল ছাড়া দুর্গাপূজা অসম্পূর্ণ মনে করাহয় ।প্রায় দুই বছর করোন কাল পার করে আবার নতুন ভাবে সেজে উঠছে দূর্গা পুজা ।দুর্গা পূজার মূল উপকরণ পদ্ম ফুল এবছর হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকে বিভিন্ন এলাকার পদ্ম ফুল চাষীদের মুখ ভার। সারা বছর পদ্মের যোগান থাকলেও দূর্গা পূজার সময় বাড়তি লাভের আশায় থাকেন পদ্ম ফুল বিক্রি করে চাষিরা। পুজোর আগেই এবার পদ্মফুলের চাহিদা বারতি রয়েছে বাজারে, কিন্তু এ বছর আবহাওয়ার কারণে মার খাচ্ছে পদ্ম চাষিরা । আবহাওয়ার পরিবর্তনে ভাদ্র মাসে গ্রীষ্মের প্রখরতা। মাথার উপর সূর্যের তাপ দহনে নাজেহাল মালদা বাসী।এবছর পদ্মের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। পদ্ম ফুল চাষিরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর গুলিতে জল নেই যার ফলে পদ্মফুলের গাছগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে পদ্ম চাষেও প্রভাব পড়েছে। বর্ষাকালের সময় মতো স্বাভাবিক বৃষ্টি না থাকার ফলে পদ্মফুল উৎপাদন সে ভাবে হচ্ছে না।পদ্ম গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মালদা জেলাতে পদ্মফুলের টান থাকবে এই দূর্গা পুজাতে । বৃষ্টির অভাবে সেভাবে ফুল ফুটছে না। সময় মতো বর্ষা না আসায় তাপমাত্রা বেশি থাকায়,পাট ধানে জমিতে জলের অভাব দেখা দিয়েছে। এবছর পুকুর গুলিতে পদ্ম ফুল না হওয়ায়, চিন্তা পরেছে পদ্ম ফুল চাষিরা। এই পদ্ম ফুল চাষ করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকে পদ্মফুল চাষ করে। এই টাকা দিয়ে দুর্গাপূজায় পরিবারের নতুন জামা কাপড় ও সংসার খরচ চলে আসে।এবছর ফুল না হওয়ায় চিন্তায় পরেছে পদ্ম ফুল চাষিরা কি করে এবছর দূর্গা পুজার খরচ আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *