মাথাভাঙায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার, মোবাইল চার্জারের তার গলায় খুনের সন্দেহ।

মনিরুল হক, কোচবিহার: হাত বাঁধা, গলায় মোবাইল ফোনের চার্জারের তার দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকালে মাথাভাঙ্গা কোচবিহার রাজ্য সড়কের বেলতলা এলাকায় মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে। এদিন সকালে প্রথমে পাকা রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে থাকা ওই যুবকের মৃত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সঙ্গে সঙ্গে ভীড় জমান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ছুটে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। এইখবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসেন মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মাথাভাঙ্গা মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান, সেকেন্ড অফিসার মহিম অধিকারী সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকর। মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মর্গে পাঠায় পুলিশ।


মৃত যুবকের এক নিকট আত্মীয় জানান, মৃত যুবকের নাম মনসুর আলী (৩০)। মৃত যুবকের বাড়ি শীতলকুচি ব্লকের নলগ্রাম এলাকায়। প্রত্যেক দিনের মতো গতকালও গোসাইরহাট বাজারে থাকা দোকানে ব্যবসা করতে যাযন। রাত প্রায় সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাড়ির দিকে রওনা দেযন। কিন্তু রাতভর বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজ শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে হঠাৎ করে মৃত যুবকের মোবাইল থেকে বাড়ির অন্য একটি মোবাইল নাম্বারে ফোন ও ম্যাসেজ আসে, সেখানে মনসুর আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ পরেই এক যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে বেলতলায়। এমনটাই খবর পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন এবং মৃত যুবকের দেহ শনাক্ত করেন। মৃত যুবকের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলও ছিল, সেটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেই মোটরসাইকেলের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে এমনটাই সূত্রের খবর। দুহাত বেঁধে মনসুর আলীকে গলায় মোবাইলের চার্জার দিয়ে বেঁধে ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের নিকটা আত্মীয়দের। ঠিক কি কারণে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। সেটা নিয়ে সন্দিহান সকলে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। এমনটাই জানান এডিশনাল এসপি অমিত ভার্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *