ব্লাইন্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের শুভেন্দু মাহাতো।

0
528

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ- দুটি চোখ অন্ধ কিন্তু স্বপ্ন দেখেছিলেন কিছু করার সেই স্বপ্ন সত্য হতে চলেছে ভারতবর্ষের জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়ে। ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনি এলাকার কইমা গ্রামের যুবক শুভেন্দু মাহাতো। জন্মের পর থেকে সে চোখে কম দেখতে পেতেন, শেষমেষ দু বছর বয়সে সে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। তারপর উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের শত চেষ্টা করেও অপারেশন করিয়ে দুটো চোখ ঠিক করতে পারেনি তাঁর পরিবারের লোকেরা। পড়াশুনার জন্য তাকে পাঠানো হয় হলদিয়া চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমে।সেখান থেকে তার জার্নি শুরু হয়। পড়াশোনার সাথে সাথে খেলাধুলা ও ভালো করতেন শুভেন্দু মাহাতো। বর্তমানে শুভেন্দু এখন শান্তিপুর বিএড কলেজের পড়ুয়া। 2014 সাল থেকে বাংলার হয়ে ব্যাট নিয়ে মাঠে নামা শুরু। অধ্যবসায়ের জোরে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ফর ব্লাইন্ড অফ ইন্ডিয়ার হয়ে দেশের জার্সি গায়ে পড়ার সুযোগ এবার ঝাড়গ্রামের গড় শালবনির ছেলে শুভেন্দু মাহাতোর। জার্নিটা খুব কঠিন হলে ও সে স্বপ্ন দেখেছিলেন ছোট থেকে, স্বপ্ন ছিল পরিবারের হয়ে দেশের হয়ে কিছু কাজ করার। তার স্বপ্ন সফল হতে চলেছে বলে খুশি তার পরিবারের লোকেরা এবং গ্রামবাসীরা। তাকে নিয়ে মাতামাতি করছেন গ্রামের মানুষ জন। একটি গ্রামের ছেলে ভারতবর্ষের জাতীয় স্তরে ক্রিকেট খেলতে চলেছে তা কতটা গর্ব তা এলাকার মানুষ বুঝতে পারছেন। 17 ই জুন তার সিলেকশন হয় ।আগামী 6 থেকে 17 ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্লাইন্ড টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হবে, প্রতিবেশী দেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন এবং এই প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে দল বাছাই শুরু হয়ে গেছে। ভারতের হয়ে খেলতে নামবেন বাংলার এক মাত্র প্রতিনিধি জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রামের গড় শালবনির কইমা গ্রামের ছেলে শুভেন্দু মাহাতো। তাই শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ লাইনে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয় এবং তার হাতে ক্রিকেট খেলার সমস্ত সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা ব্লাইন্ড ক্রিকেটার শুভেন্দু মাহাতোর হাতে ক্রিকেট খেলার যাবতীয় সরঞ্জাম তুলে দেন এবং তার সাফল্য কামনা করেন। সেই সঙ্গে তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here