নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বীরভূম পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম কৃষি অধুষ্যিত জেলা। পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি জেলার মানুষ জীবন জীবিকার জন্য অনেকাংশেই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এই জেলার বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ নাসির, বয়স ২৭ বছর।পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটির মূল জীবিকা পারিবারিক কৃষি। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পারিবারিক কৃষি কার্যে জড়িয়ে পড়ার জন্য পড়াশোনায় ইতি ঘটে নাসিরের। বিগত ৬ বছর থেকে কৃষি কাজের সাথে যুক্ত নাসের বাবু।
সাম্প্রতিক ২০২১ এর খারিফ মরশুমে শেখ নাসির পারিবারিক ৬ একর জমিতে ধান চাষ করেন। কিন্তু ধান রোপনের কিছুদিনের মধ্যেই তিনি লক্ষ্য করেন প্রায় ২ একর জমিতে উইপোকা আক্রমণ করেছে। মানসিকভাবে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েন নাসির বাবু। এরই মধ্যে একটি সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর হেল্পলাইন নম্বর সহ বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্রোগামের এর কথা জানতে পারেন এবং ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধির সহায়তায় রথীন্দ্র কৃষি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ও রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের যৌথ পরিচালনায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রোগামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। শেখ নাসির তার সমস্যার কথা হোয়াটসঅ্যাপ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন এবং কৃষি বিশেষজ্ঞ জানান জমিতে উই পোকার আক্রমণ হয়েছে এবং সমাধানের জন্য কীটনাশকের নাম এবং ব্যবহার পদ্ধতি বলে দেন। কৃষি বিশেষজ্ঞ- এর কথামতো শেখ নাসির জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই তিনি লক্ষ্য করেন যে তার সমস্ত ধানের গাছ গুলো সতেজ হয়ে গেছে। নাসির বাবু বলেন, প্রতি বছর ২ একর জমি থেকে প্রায় ৫ টন ৪ কুইন্টাল ধান পেতাম , কিন্তু এই বছর যদি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পরিষেবা না পেতাম তাহলে প্রায় ১ টন ৪ কুইন্টাল ধান নষ্ট হয় যেত, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৬৬০০ টাকা। তিনি সে টাকা বোনের বিয়ের জন্য জমা করে রেখেছেন।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জন্য আমাদের মতো চাষিরা খুব উপকৃত হচ্ছে এবং অসংখ্য ধন্যবাদ সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ দেবার জন্য। এভাবেই গ্রাম বাংলার কৃষকদের নিয়মিত সঠিক তথ্য প্রদান করে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আর প্রকৃত অর্থেই কৃষকবন্ধু।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ থেকে উপকৃত কৃষক ভাই শেখ নাসির।

Leave a Reply