নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধরমপুর গ্রামে মাঠপাড়ার বটতলায় বটবৃক্ষ ভোলানাথের মেলায় ভিড় লক্ষ্য করা গেল গোটা কৃষ্ণগঞ্জবাসীর। জানা যায় প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসে ভাজনঘাট মাঠপাড়ার বটতলায় বটবৃক্ষ পুজোর পাশাপাশি করা হয় বাউল গানের আয়োজন এবং ভক্তদের বিতরণ করা হয় প্রসাদও।
পুরান মতে জানা যায় ভাজনঘাট টঙ্গী এলাকার ওই স্থানে চাষিরা চাষ করতে ভয় পেত সাপের উপদ্রবের কারণে। এরপরেই এক চাষীকে নাকি স্বপ্নাদেশ দেওয়া হয় ওই স্থানে পুজো করার। পুজো করার পর থেকেই নাকি চাষীদের সমস্ত বিপদ দূর হয়। গ্রামের এই বিশ্বাস থেকেই বহু বছর ধরে পূজো হয়ে আসছে। যদিও এক গ্রামবাসীর কথায় জানা যায় আগে অন্য স্থানে একটি নিম গাছের সামনে পুজো করা হলেও প্রায় গত সাত বছর ধরে এই বট বৃক্ষের কাছেই পুজো করা হয়।
প্রত্যেক বছরই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে পুজো ও মেলার সময়। অনেকে এই পুজোতে মানত করে বলেও জানা যায়। এক ব্যক্তি নিজের স্ব-ইচ্ছায় বেশ কিছু জায়গা দান করেন এবং দান করার স্থানেই বর্তমানে করা হয় পুজো। পুজোর পর খাওয়ানো হয় পূজোর প্রসাদ তাতে থাকে খিচুড়ি, তরকারি ছাড়াও নানান রকম খাদ্যদ্রব্য।
সুতরাং বলা যেতে পারে বাঙালির ১২ মাসের ১৩ পার্বণের মাজদিয়া কৃষ্ণগঞ্জের ভাজনঘাট টুঙ্গি এলাকার মাঠপাড়ায় বটবৃক্ষের বটকৃষ্ণ পুজো ভক্তি ও আনন্দে বর্তমানে মিলেমিশে একাকার। স্থানীয়রা আশা করছেন প্রতিবছর এই মেলা এবং পুজো আরও বেশি করে সমৃদ্ধি পাবে।