পর্যাপ্ত ঠান্ডা না পড়ায় গুড় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

0
277

প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া :  পর্যাপ্ত ঠান্ডা না পড়ায় গুড় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। শুধু মেদিনীপুর থেকে সপরিবারে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও চলে এসেছেন হাওড়া সাঁকরাইল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গুড় ব্যবসা করতে চুনিলাল প্রধান। বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। দীর্ঘ দশ বছর ধরে তিনি এখানে এসে এলাকার খেজুর গাছ কেটে খেজুরের রস বের করে গুড় তৈরি করে এলাকার বাসিন্দাদের গুড় খাওয়ান। যদিও বয়সের ভারে তিনি গাছে ওঠেন না তথাপি গুড় তৈরি করা এবং বিক্রি করার কাজে হাত লাগান। ঠান্ডা চলাকালীন প্রায় তিন মাস গুড়ের ব্যবসা চলে। কার্তিক মাস কেটে অঘ্রায়ন মাসের মাঝামাঝি কেটে গেলেও তেমন ঠান্ডা না পড়ায় খেজুর গাছে রস মিলছে না আক্ষেপ গুর ব্যবসায়ীর। সেই জন্য তেমন গুড়ো হচ্ছে না । এদিকে বাজার প্রায় শুয়ে পড়েছে বললেই চলে। করোনা এবং লকডাউনে সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে অর্থনীতি বাজার অনেকটা রোগা গ্রস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই রোগ থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পেতে অনেকটা সময় লাগবে তাই এখনো বাজার সেই রকম ভাবে দাঁড়ায়নি। এরই মাঝে খড়ের আকাল সবদিক থেকে এ বছর যেন গুরু ব্যবসায়ী কাছে পৌষ মাসের বদলে সর্বনাশের একটা কালো মেঘ উঁকি মারছে এমনই ভাবছেন গুরু ব্যবসায়ী। তাই মনটাও ভালো নেই। বেচাকেনা তেমন না থাকলে মন ভালো থাকে কি ! চোখে মুখে তেমনি আভাস ফুটে উঠলো প্রবীণ এই গুড় ব্যবসায়ীর। আগামী মাসে ঠান্ডা কেমন পড়ে এবং বাজার একটু উঠে দাঁড়ায় কিনা সেই দিকে তাকিয়ে শুদুর মেদিনীপুর থেকে আসা প্রবীণ গুরু ব্যবসায়ী চুনিলাল প্রধান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here