পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- মনের ইচ্ছা একাগ্রতা এবং অদম্য জেদ এবং সাহস নিয়ে আজ তিনি সফল কিন্তু কোন রকম প্রচারের আলোয় না থেকে তিনি ব্রাত্য । তিনি প্রতিদিন সকালে সাত সাত চৌদ্দ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বেল কাশ থেকে মোহনবাগান মাঠে শারীরিক চর্চা এবং অনুশীলন করতে আসেন এবং তারপরে বাড়ি ফিরে যান । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন খেলোয়ারদের বেশি গুরুত্ব দেন এবং খেলাধুলার উপর বেশি নজর দেন কিন্তু তা সত্বেও রঞ্জন বাগ এর মতন অনেক খেলোয়াড় অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে । আর এদের মধ্যে রঞ্জন বাগ অন্যতম । এরা না পায় কোন সাহায্য আর না পায় সঠিক প্রশিক্ষণ কিন্তু এদের মনের ইচ্ছা অপরিসীম। এদের মনের জোর ইচ্ছা এবং একাগ্রতা আজ এদের হাতে সাফল্য এনে দিচ্ছে । ঠিক এরকমই একজন খেলোয়াড় রঞ্জনবাগ তিনি বেলকাশ গ্রামে থাকেন । তিনি অনেক ছোট বয়সে তার বাবা মাকে হারিয়েছেন । তিনি তার ভাইকে নিয়ে থাকেন । তিনি তার এই দৌড়ানোর জন্য খেলাধুলা করার জন্য বিবাহ করেননি । তিনি ২০০৫ সাল থেকে অনুশীলন করে যাচ্ছেন এবং একের পর এক অ্যাথলিট ইভেন্টে নাম দিচ্ছেন এবং সাফল্যও পাচ্ছেন কিন্তু তার সংসারে ভরা অভাব তিনি চাইছেন যদি সরকার থেকে তাকে সাহায্য করা এবং অন্তত একটি চাকরির ব্যবস্থা করা যেত তাহলে হয়তো তিনি আরো বেশি করে অনুশীলন করে এবং তার জার্নিটা মসৃণ হতো তিনি দিন কয়েক আগেই নাসিক থেকে দশ হাজার মিটার এবং 5000 মিটারে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান দখল করেন । পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার নাম উজ্জ্বল করেন। তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন পশ্চিমবঙ্গের হয়ে এবং বর্ধমান জেলার হয়ে । তিনি আরো বেশি করে খেলাধুলার প্রতি দৌড়ানোর প্রতি মনোনিবেশ করতে চান কিন্তু আর্থিক প্রতিকূলতার জন্য তিনি পিছিয়ে পড়ছেন।
মনের ইচ্ছা একাগ্রতা এবং অদম্য জেদ এবং সাহস নিয়ে সফল রঞ্জন বাগ।

Leave a Reply