আবাস যোজনার কাজে আশা কর্মীদের নিযুক্ত করার প্রতিবাদে ডেপুটেশন।

0
128

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- শিশুর জন্মের আগে ও পরে মা এবং শিশুর যত্ন নেওয়া। সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা নীতি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।এবং দুই শিশুর জন্মের মধ্যে ব্যবধান রাখার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা আশা।কর্মীদের কাজ। কিন্তু এবার তাঁদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আবাস যোজনার জন্য ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে এবার আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের থেকে বাংলার সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়ে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, আবাস প্লাস প্রকল্পের আওতায় যাঁরা যাঁরা গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি তৈরির সুবিধা পাবেন, তাঁদের তালিকা যাচাই করার জন্য আশাকর্মীদের কাজে লাগানো হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্লক উন্নয়ন অফিসের অধীনে এই তালিকা যাচাইয়ের জন্য এক একটি দল গঠন করা হবে। সেই দলের থাকবেন আশাকর্মীরা। কিন্তু এই কাজ করতে নারাজ বীরভূম জেলার দুবরাজপুর বিপিএইচসি-র অধীনে থাকা আশা কর্মীরা। আজ দুবরাজপুর ব্লক এলাকার দশটি পঞ্চায়েতের ২০৫ জন আশা কর্মী দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে বিক্ষোভ মিছিল করে দুবরাজপুর ব্লক স্বাস্থ্য মেডিকেল অফিসারকে ডেপুটেশন জমা দিতে যান। কিন্তু জরুরি মিটিংয়ের জন্য তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাই আশা কর্মীরা ব্লক সেক্রেটারী ইন্সপেক্টর সন্দীপ ব্যানার্জিকে সেই ডেপুটেশন প্রদান করেন। জিন্নাতারা বিবি নামে এক আশা কর্মী জানান, আশা কর্মীদের যে আবাস যোজনার সার্ভে দেওয়া হয়েছে সেই সার্ভে আশা কর্মীরা করতে রাজি নয়। আমাদের যখন নিয়োগ করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল মা এবং শিশুর পরিষেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এর বাইরে এসব কাজ কেন দেওয়া হচ্ছে। আবাস যোজনার যে তালিকা আগে থেকে তৈরি হয়েই আছে আর যদি দিতে হয় আমাদের তাহলে আগে কেন দিল না। আশা কর্মীরা যখন হাঁড়ির খবর পর্যন্ত রাখে তাহলে তাঁরাই তো জানবে কে পাওয়ার যোগ্য এবং কে পাওয়ার যোগ্য নয়। আবাস যোজনার তালিকা যদি তৈরি হয়েই আসে এবং সেই তালিকা থেকে যদি কোনো বাড়ি বাদ পড়ে যায় তাহলে তো আমাদের ওপরে আক্রমণ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here