ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসলো লাবনী,শোরগোল তমলুকের গণপতিনগরে।

0
180

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ২০১৫ সালে দেখাশুনা করেই বিয়ে হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার বেতকল্লা গ্রামের লাবনী সামন্তের। লাবনীর বিয়ে হয়েছিল তমলুক থানার গণপতি নগরের হরেকৃষ্ণ সামান্তের সঙ্গে। লাবনীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হরেকৃষ্ণ সামন্ত ইন্ডিয়ান নেভিতে চাকরি করেন। চাকরি-সুত্রে হরেকৃষ্ণ সামন্ত মুম্বাইতে থাকে। বিয়ের পরে লাবনীকে মুম্বাই নিয়ে গিয়ে রেখেছিল হরেকৃষ্ণ। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দুজনের মধ্যে সন্তান মনোমালিন্য শুরু হয়। এরমধ্যেই বিয়ের তিন বছর পর লাবনীর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপরও লাবনী মুম্বাইতে হরে কৃষ্ণ সম্বন্ধের সঙ্গেই ছিল। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শেষের দিকে পুত্র সন্তান ছাড়াই লাবনীকে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায় হরেকৃষ্ণ। পরে লাবনী জানতে পারে যে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এবং কাগজপত্র লাবনী না বুঝেই সই করেছে বলে জানায় লাবণি সামন্ত,
এরপর লাবনীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ আইন আদালত করেও এখনো পর্যন্ত কিছু হয়নি? তাই মঙ্গলবার থেকে লাবনী তমলুক থানার গণপতিনগরে হরেকৃষ্ণ সামন্তের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছে পুত্র সন্তানকে ফেরত পাওয়ার দিবি ও ভরনপোসনের দাবি জানিয়ে। তবে সম্ভবত এই ধরনায় বসার খবর পেয়ে হরেকৃষ্ণ সামন্তের পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। বাড়ি তালাচাবি বন্ধ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল হরেকৃষ্ণ সামন্ত সহ পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের সঙ্গে সেভাবে সুসম্পর্ক রাখেননি এবং চাকরির সূত্রে হরে কৃষ্ণ সামন্ত মুম্বাইতে থাকেন এবং মাঝে মাঝে আসেন। তবে আজ সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে বাড়িতে কেউ নেই।
লাবনী সামন্ত ও তার বাবা জানিয়েছে যতক্ষণ না প্রতিকার হয় এবং তার পুত্রকে ও অধিকার ফিরে পায় ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি এই বাড়ির সামনেই ধরনায় বসে থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here