দলীয় নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি তৃণমুল নেতার, ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পাঁশকুড়ার রাজনৈতিক মহলে।

0
345

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দলীয় নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি তৃণমুল নেতার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার রাজনৈতিক মহলে।অভিযোগ, পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর ১ নম্বর অঞ্চলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে থাকা শেখ মুসা নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবিকে লোন পাইয়ে দেওযার নামে দু লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা শেখ সাহানাজ ও তার বাবা জাহাঙ্গির আলি।অভিযোগ তাঁর বাবাই ছেলের প্রভাব খাটিয়ে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জাহাঙ্গির আবার চৈতন্যপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে পরিচিত।
সূত্রের খবর, পাঁশকুড়ার কালই বাজারে শেখ মুসা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবির একটি জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, সেই ব্যবসা বাড়ানোর জন্য রোজিনা বিবিকে লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় শেখ জাহাঙ্গীর আলি। কয়েক দফায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার বেশি টাকা নেওয়া হয় রোজিনা ও তাঁর স্বামীর থেকে। শেখ মুসা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবির অভিযোগ, দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেই লোনের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা করেননি ওই তৃণমূল নেতা। উল্টে টাকা চাইতে গেলে মুসা ও রোজিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোজিনা ও তাঁর স্বামী পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়াকেও। তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসন এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তবে তাঁরা চান দলগতভাবে ওই দুই তৃণমুল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন অভিষেক। এই বিষয়ে শেখ জাহাঙ্গীর আলির ছেলে তথা এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সেখ সাহানাজ বলেন, “যে অভিযোগ করেছে তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটা করা হচ্ছে। আমি যাতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাই সে কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি থানাকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করুন। যদি আমি দোষী হই তাহলে যে শাস্তি আমাকে দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here