দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পলিরানী সাহু একজন কৃষক পরিবারে কন্যা সন্তান বাবা ছোট থেকে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত কৃষি কাজ থেকে যেটুকু আর্থিক ভাবে লাভ পেত সেটি দিয়ে দুই ভাই বোনকে মানুষ করেছে। ছোট থেকে তার বাবার মত একজন ভালো প্রযুক্তি বীর কৃষক হওয়ার আজ তার স্বপ্ন সফল করেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
উনি একদিন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর কথা শুনে এবং জানেন যে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন থেকে নানা রকমের চাষবাসের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় উনি সেই মতো রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে 2019 সাল থেকে নানা রকমের ট্রেনিং গুলো নিতে থাকে সেই সমস্ত ট্রেনিং থেকে কিভাবে কৃষি কাজকে উন্নত মানের এবং কৃষক কে স্বনির্ভর করা যায় সেই পদ্ধতিগুলো উনি মেনে চলতে থাকে।
কুলতলী ব্লকে বিনোদপুর গ্রামে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ষাকালীন ধান চাষের উপর কৃষকদেরকে নিয়ে ডিজিটাল ফার্ম স্কুল শুরু করেন এই ডিজিটাল ফার্ম স্কুলের মাধ্যমে কৃষকদেরকে কিভাবে উন্নত মানের ধান চাষ করানো যেতে পারে এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা যেতে পারে সেই বিষয়গুলি নিয়ে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটি শুরু করে। কৃষকরা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ধান চাষ করতে পারে সেগুলি তাদেরকে প্রতিনিয়ত নানান প্রশিক্ষকে দাঁড়ায় ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
আজ ওই গ্রামে প্রায় ১০০ জন কৃষক এই ডিজিটাল ফার্মস স্কুলের সঙ্গে যুক্ত ।
পলিরানী সাহু নিজের গ্রামে এমন একটি সুযোগ পেয়ে তিনি নিজেকে এই ডিজিটাল ফার্ম স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হন তারপর নিজের ২ বিঘে ১০ কাঠা জমিতে দুধের সর ধান চাষ করেন সম্পূর্ণ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর পরামর্শ এবং ট্রেনিং নিয়ে শুরু করেন।
উনি এ বছর অনেক উপকৃত হয়েছে আগের বছর খরচের তুলনায় এ বছর খরচ অনেক কম করতে পেরেছে ও আর্থিক লাভ অনেকটাই বেশি পেয়েছে। ওনার ২ বিঘা ১০ কাটা জমি থেকে প্রায় ২০ বস্তা ধান পেয়েছেন। এখন যার বাজার মূল্য ৯৫০ টাকা বস্তা এছাড়া উনি এখন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের কৃষকদেরকে কৃষি কাজের আগ্রহী করে তোলার জন্য তাদেরকে উৎসাহ যোগাচ্ছে এছাড়া নিজে এখন গ্রামের কৃষকদেরকে নানা রকমের ট্রেনিং করাচ্ছেন যাতে কৃষকরা আরও এগিয়ে আসে এটা সম্পূর্ণ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে ও চাষীদের কাছে একজন ভালো প্রশিক্ষক বা কৃষক হয়ে উঠতে পেরেছে।
আজ উনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানায় নিজে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য বা সুন্দরবন এলাকায় কৃষকদেরকে নিয়ে এইভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন নিজেই কৃষি ট্রেনার হয়ে উঠেছেন।

Leave a Reply