নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- শীতে নয় আলিপুরদুয়ার শহর কাপছে চিতাবাঘের আতংকে। সিসিটিভির ছবি ঘিরে তোলপার, আতংক। আলিপুরদুয়ার শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডের চামরা গুদামের কাছে সিসিটিভিতে ধরা পরা এক জন্তুর ছবি ঘিরে শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা শহরে চিতাবাঘ ঢুকে পরেছে বলে আশংকা করছেন। সিসিটিভির ফুটেজ সহ বক্সা বাঘ বন কতৃপক্ষকে খবর দিয়েছেন স্থানিয় পুরসভার কাউন্সিলর পার্থ প্রতিম ঘোষ। খবর দিনে দুই বার এলাকায় টহল দিয়েছেন বন্দফতরের কর্মীরা। রাতেও বন দফতর এলাকায় টহল দেবে বলে জানিয়েছেন বক্সা বাঘ বনের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন। প্রয়োজন হলে খাচাও পাতা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর। গোটা শহর এখন শীতে নয়, চিতাবাঘের আতংকে কাপছে। বক্সা বাঘ বনের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “সিসিটিভিতে ধরা পরা জন্তুটিকে আমরা লেপার্ড ধরে নিয়েই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছি। কারন আমাদের জঙ্গল ঘেষেই আলিপুরদুয়ার শহর। যেকোন সময় লেপার্ড জঙ্গল থেকে শহরে ঢুকতে পারে। শহরের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। রাতে এলাকা টহল দেওয়া হবে। দমনপুরে খাচাও রয়েছে। প্রয়োজনে খাচা পাতা হবে।”জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ চামড়া গুদাম এলাকার বাসিন্দা জসিমুদ্দিন আনসারির বাড়ির পেছনে ফাকা জায়গায় একটি জন্তুকে চলা ফেরা করতে দেখা গেছে। জসিমুদ্দিনের বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পরেছে। শুক্রবার সেই ছবি দেখেই প্রথমে জসিমুদ্দিনের বাড়ির লোকেরা আতংকিত হয়ে যায়। পরে স্থানিয় কাউন্সিলর মারফত তারা বন দফতরে যোগাযোগ করেন। এই ঘটনা সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পরতেই গোটা শহরে আতংক ছড়িয়েছে। স্থানিয় বাসিন্দা জসিমুদ্দিন আনসারি বলেন, “ সিসিটিভিতে দেখা যাওয়া জন্তুটিকে দেখে কুকুর গুলো ভয়ে সরে যাচ্ছে বলেও দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের আশংকা এটা চিতাবাঘই হবে। সেই কারনে বনদফতরে জানিয়েছি। বন দফতর দুবার এসেছিল। রাতেও টহল দেবে বলে বলেছে। আমরা ভয়ে আছি।