বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সূদূর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ছুটে এসে প্রেমিকের বাড়ির সামনে রীতিমত ধর্নায় বসলেন দুই সন্তানের জননী।

0
1187

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সূদূর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ছুটে এসে প্রেমিকের বাড়ির সামনে রীতিমত ধর্নায় বসলেন দুই সন্তানের জননী।আজব এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে মালদা জেলার মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলা পাড়া এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ওই মহিলার বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়।চিলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা প্রেমিক বানিজ আলির(৩১) বাড়ির সামনে এদিন সকাল থেকে ওই মহিলা ধর্নায় বসে রয়েছেন।ওই বিবাহিত মহিলার দাবি,স্ত্রীর মর্যাদা পেতেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসে রয়েছেন।

ওই মহিলা জানান,তার বোনের বিয়ে হয়েছে চিলা পাড়া গ্রামে।একদিন বানিজের মোবাইল থেকে তার বোন তাকে ফোন করেছিল।সেই থেকে বানিজ তাকে বার বার ফোন করে প্রেমের মায়াজালে ফাঁসিয়ে নেয় বলে দাবি।বানিজের সঙ্গে তার প্রায় এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।তারা এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছে।তাঁদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।প্রেমিকের হাত ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন।হোটেলেও থেকেছেন।তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছিলেন।এমনকি,বিয়ে করবেন বলে বুধবার তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকেন।কিন্তু,এদিন ওই যুবকের বাড়িতে গেলে তাঁর দেখা পাননি।কলকাতায় তার সঙ্গে দুইবার সাক্ষাতও করেছেন।তামিলনাড়ুতে তারা একটানা তিন মাস স্বামী স্ত্রীর মতো সময় কাটিয়েছে।এলাকার সবাই তাদের স্বামী স্ত্রী বলেই জানত।তিন মাস ধরে ওই যুবক বিভিন্ন টালবাহানা করে সম্পর্ক দূর করার চেষ্টা করছে।দুই সপ্তাহ আগে তাদের ফোনে কথাও হয়েছে।তাঁকে বিয়ে করবে বলে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠালেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি।এই অভিযোগ তুলে প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে রয়েছেন ওই মহিলা।ওই যুবক তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে না নিয়ে গেলে তার বাড়ির সামনেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।

প্রেমিক বানিজ আলির বাবা জবেদ আলি জানান, তাদের প্রেমের সম্পর্ক সে জানেন না। তবে তার ছেলে তাকে বিয়ে করে সংসার করতে চাইলে তার কোনো আপত্তি নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here