প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : – ২০০৩ সালে সূচনা, দেখতে দেখতে কুড়ি বছর পদার্পণ করল রাধা বল্লভ মন্দির । ভারত কো-অপারেটিভ সোসাইটি এলাকা তৈরি এই মন্দির। প্রথম দিন ভক্তগণদের সঙ্গে নিয়ে খোল করতালের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে পদব্রজে গঙ্গার ঘাটে ৯ কলসি জল সংগ্রহ করে বেদি শোধন করা হয়। মহা সামারহে ধর্মীয় মিছিল সাঁকরাইল থানা সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে আবার মন্দির প্রাঙ্গণে ফিরে আসে সুশৃংখলভাবে। প্রচুর ভক্তগণ সেই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন জানালেন বর্তমানে মন্দিরের প্রধান কার্যনির্বাহী মহারাজ সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাধা বল্লভ মন্দিরের প্রাঙ্গনে নব কুঞ্জ তৈরি করে পাঁচ দিনব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন চলল। রাধারানীর মূল মঞ্চ তারপর আটটি সখীর মঞ্চ তৈরি করে এই নব কুঞ্জ সৃষ্টি। হরিনাম দল নব কুঞ্জের ৯টি বেদীতে দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে হরিনাম সংকীর্তন করে চলেছে। যেটা ৫ দিন ৫ রাত অর্থাৎ ৪০ প্রহর বলা হয়। এছাড়াও প্রতিদিন দেড় হাজারের মত ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করছেন দিবা এবং রাত্র। মন্দির প্রাঙ্গণে একটু দূরবর্তী স্থানে চলছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্কৃত অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় পাঠ। এছাড়াও ধর্মীয় যাত্রা অনুষ্ঠান ও আয়োজন করা হয় মন্দির কমিটি পক্ষ থেকে। সাঁকরাইল সহ বিভিন্ন এলাকার ভক্তগণ এখানে এসে ধর্মীয় কথা শ্রবণ করছেন এবং হরিনাম সংকীর্তন এর সংগীত শ্রবণ করছেন ভক্তির সহিত । সাঁকরাইল ব্লকের বিভিন্ন গুণীজনও এখানে এসে হরিনাম আসরে নিজেদের যুক্ত করেছেন। সাঁকরাইল রাধাবল্লব মন্দিরের যিনি প্রধান দায়িত্বে আছেন তিনি হলেন মহারাজ সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন এলাকার সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে এলাকার ক্লাব, বিভিন্ন মন্দিরের কর্মকর্তা গন সকলেই এই মহোৎসবের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সকলে প্রাণবন্ত ইচ্ছায় এই মহোৎসব সাফল্যমন্ডিত করেছে। তাই তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানালেন এবং এই উৎসব সাঁকরাইলের উৎসব হিসাবে অভিহিত হয়েছে জনগণ তাই বলছেন এমনই মন্তব্য করলেন মহারাজ। মন্দিরে অদূরে স্থানে মঞ্চে পদাবলী থেকে শুরু করে প্রতিদিন ধর্মীয় সংগীত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে জানালেন মহারাজ।