মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক নীতি, মূলধন ব্যয় কি?

মুদ্রাস্ফীতি বলতে সময়ের সঙ্গে জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি বোঝায়। কারণ, সময়ের সঙ্গে টাকা তার মূল্য হারায়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আজকে 2000 টাকা দিয়ে যে জিনিসটা কেনা সম্ভব, এক দশক বাদে 2000 টাকা দিয়ে সেই জিনিস বা সমপরিমাণ জিনিস কেনা সম্ভব নয়। তার জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হবে। 10% মুদ্রাস্ফীতির হার মানে এক বছর আগে যার মূল্য 100 টাকা ছিল, তা এক বছর পরে কমে 90 টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, টাকার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।

কোনও দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সেই দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় কত পরিমাণ অর্থের অন্তপ্রর্বাহ হচ্ছে, তার উপরে নির্ভর করে। এবং বাজারে নগদের জোগানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নানা পন্থা অনুসরণ করে।রাষ্টায়ত্ত সংস্থায় নিজের ভাগের যত পরিমাণ শেয়ার বা মালিকানা রয়েছে, যখন সরকার তা বিক্রি করে দেয়, তখন তাকে বিনিয়োগের বিকেন্দ্রীকরণ বলে।

পরিকাঠামো ও উৎপাদন খাতে সরকার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করে, তাকে মূলধনী ব্যয় বা ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বলা হয়। বিল্ডিং, যন্ত্রপাতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগকে মূলধনীন ব্যয়ের মধ্যে ধরা হয়।

।। সংগৃহীত।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *