আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বন্ধুত্ব হল বিশ্বাস, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতা দিয়ে তৈরি। বন্ধুত্ব শুধু একটা শব্দ নয়, এটা একটা নীরব প্রতিশ্রুতি। তারই একটি বিরল দৃষ্টান্ত দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শাসপুর এলাকার আমরাল দিঘির মনোরম পরিবেশে একটি পিকনিক স্পটে। সুদীর্ঘ ৩০ বছর পর আবার সামিল হতে দেখা গেল কয়েকজন বন্ধু- বান্ধবীদের। এরা সকলেই পঞ্চম শ্রেণী থেকে সাশপুর ধীরেন্দ্রনাথ সিংহ ইনস্টিশনের ছাত্র-ছাত্রী। একসাথে বিদ্যালয়ে যাওয়া, একসাথে বিদ্যালয় থেকে ফেরা, ছেলেবেলার কত সুখ স্মৃতি, দুরন্তপনা, একসাথে বসে টিফিন খাওয়া, একসাথে খেলাধুলা, একে অপরের পাশে থাকা।তারপর সব হারিয়ে গেল। লেখাপড়া সূত্রে, জীবন জীবিকার প্রশ্নে সকলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। এ জানো এক সুতোয় বাঁধা মালা থেকে ফুলগুলি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। তবে যোগাযোগ একটা ছিল, ফেসবুক, whatsapp আর ফোন। কিন্তু দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে? বহুদিন সামনাসামনি কেউ কাউকে দেখেনি। সেই ছেলেবেলার মুখের আদলের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজ প্রত্যেককে ছেলে মেয়ের বাবা, মা। ঘটে গেল এক ঐতিহাসিক মহামিলন। সাক্ষী রইল স্বচ্ছ জল, আকাশ, বাতাস আর আমরাল দিঘির অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতি, গাছপালা, আকাশের সূর্য। হইহুল্লোড়, নানান সুস্বাদু খাবার খাওয়া হলো, গান হল, কবিতা হল আর ৩০ বছর ধরে বুকে জমে থাকা অনেক অনেক কথা হলো। আবেগ সমুদ্রে ভেসে গেল সবাই, মন আবার শিশু হয়ে উঠল…. রবি ঠাকুরের গানের কথা মনে পড়ে গেল সকলের….”পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়।”…. সত্যি পুরোনো দিনের বন্ধু-বান্ধবী, স্কুল জীবন কোনদিন ভোলার নয়। আবার হবে তো দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো।
সুদীর্ঘ ৩০ বছর পর আবার সামিল হতে দেখা গেল কয়েকজন বন্ধু- বান্ধবীদের।

Leave a Reply