বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা শিক্ষাপ্রসারক বিনোদবিহারী গায়েন-এর দ্বাদশ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হলো।

0
1688

রাজীব দত্ত,সন্দেশখালী,উত্তর ২৪পরগনা :-বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ”শিক্ষাপ্রাণ”বিনোদ বিহারী গায়েনের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয়েছে।সুন্দরবনের প্রত‍্যন্ত অঞ্চলে তিনি সমাজের অন্ধকারে শিক্ষার আলো বিস্তার করতে প্রত‍্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫২টি বিদ‍্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এতদঅঞ্চলের শিক্ষা,সামাজিক, অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত মানুষের উন্নতি জন‍্য তিনি জীবনের প্রায় সবকিছুই মায় সংসারও পর্যন্ত ত‍্যাগ করেছেন।তপশিলী জাতি‌, আদিবাসী,অন‍্যান‍্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন‍্য নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছিলেন তিনি। মাত্র ৭ বছরের মধ্যেই শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দিয়ে সমাজসংস্কার ও শিক্ষাপ্রসারকে আদর্শ করেছেন,
এলাকার মানুষ তাঁকে “সুন্দরবনের বিদ‍্যাসাগর” বলে মান‍্য করে। হিন্দুস্থান টাইমস পত্রিকায়(৩জুন,২০০৩) বলা হয়েছিল- “গ্রামীণ জনজীবনে শিক্ষার আন্দোলন চালিয়েছেন তিনি আলোক বর্তিকার মতো।” আনন্দবাজার পত্রিকা,২৯জানুয়ারি,১৯৯৬ সংখ্যায় লিখেছিল-“সুন্দরবন অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারই ছিল তার ধ‍্যানজ্ঞান।প্রতিদানে কোন কিছু প্রাপ্তির আশা না করে ৪১বছর ধরে শিক্ষা বিস্তার করে গেছেন নিরলসভাবে।” বসিরহাট থানা অঞ্চলে তেভাগার নেতা মনোরঞ্জন শূরের সঙ্গে তেভাগা আন্দোলনেও অংশ নিতে দেখা গেছে তাকে। ৩১/০১/২০২৩ দিনটি ছিল তার দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী। বিনোদ বিহারী গায়েনের এই আত্মত্যাগ ও মহান শিক্ষাবিস্তারের কাজকে সরকারী ভাবে কোন স্বীকৃতি জানানো হয়নি এটাই দুর্ভাগ্য। ২০ নভেম্বর ১৯২২ তাঁর জন্মদিবস। সেই হিসেবে তাঁর জন্মশতবর্ষ
অতিক্রান্ত।অথচ উপযুক্ত মর্যাদা,স্বীকৃতি; সমাজ ও সরকার কেউই যথাযথভাবে দেয় নি আজও।আজও
বিনোদবিহারী ঝরা পাতা বাসিফুল।এই আত্মঘাত থেকে বেরিয়ে এসে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে দলমত নির্বিশেষে সুন্দরবনের মানুষ মনে করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here