নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ছেলেকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল বাবা ও বড় ছেলের বিরুদ্ধে। যদিও পিটিয়ে মারার ঘটনা অস্বীকার পরিবারের। গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা ও বড় ছেলে। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার রানাঘাটে। মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন ঘোষ বয়স(৩৮)। জানা যায় মৃত চন্দন ঘোষ রানাঘাট পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সড়কপাড়ায় দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন তিনি তার নিজের বাড়ি অর্থাৎ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কৃপাময়ী তলার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাকে বেধড়ক মারধর করে বাবা ও দাদা। তারপর তিনি ভাড়া বাড়িতে ফিরে এলে, রাতে সেখানে মৃত্যু হয়েছে। খবর পায় রানাঘাট থানার পুলিশ এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত চন্দন ঘোষের দেহ উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। যদিও প্রতিবেশীদের প্রশ্ন করলে অনেকে জানিয়েছেন মৃত যুবক চন্দন ঘোষ মাঝেমধ্যেই নেশা ভান করতো, কিন্তু এই ঘটনা ঘটবে তারা কখনো ভাবতেও পারেননি। মৃত চন্দন ঘোষের মায়ের দাবি, বেশ কিছুদিন আগেই ঘরে রাখা বাক্সের তালা ভেঙে টাকা চুরি করেছিল চন্দন ঘোষ, তারপর থেকেই বাবা নেপাল ঘোষ খুবই রেগে ছিল। চন্দন ঘোষ আবারো বেলাল্লাপনা করায় লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে বাবা, কিন্তু ছেলের যে এইভাবে মৃত্যু হবে তা তারা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। তবে ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।
ছেলেকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ বাবা ও বড় ছেলের বিরুদ্ধে, পুলিশের জালে গ্রেফতার অভিযুক্ত দুজনেই।

Leave a Reply