নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট:- মিটারে গড়মিল করার অভিযোগে শুক্রবার এক বিদ্যুৎ কর্মীকে দীর্ঘ কয়েকঘন্টা আটক করে রাখল উত্তেজিত গ্রাহকরা। বালুরঘাট শহরের ব্রতীসংঘ এলাকার ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জানা গিয়েছে, এদিন ব্রতী সংঘ এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটারে রিডিং সংগ্রহ করছিল বিদ্যুৎ দফতরের দুই কর্মী। অভিযোগ, ওই কর্মীরা মিটার খুলে একাধিকবার বোতাম টিপে যাবতীয় দেখতে থাকে। প্রথম কয়েকটি বাড়ির গ্রাহকরা বিষয়টি সেভাবে লক্ষ্য করেনি। কিন্ত এরপরেই ওই এলাকার অন্য গ্রাহকরা বিষয়টি লক্ষ্য করেই ওই দুই বিদ্যুৎ কর্মীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। উত্তরে ওই বিদ্যুৎ কর্মীরা জানান, আধিকারিকের নির্দেশে তারা বাড়ি বাড়ি মিটার রিডিং দেখার পাশাপাশি লোড চেক করছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে একের পর এক গ্রাহকরা বের হয়ে আসেন রাস্তায়। তারা ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। লিখিত নির্দেশ ছাড়া এভাবে মিটারের তথ্য নেওয়া বেআইনি বলে দাবি করে এলাকার উত্তেজিত মানুষজন। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই একজন মিটার রিডার (বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী) কেটে পরেন। এরপরেই অন্য আরেক বিদ্যুৎ কর্মীকে আটকে রাখেন এলাকার মানুষজন। তার মোবাইল আটকে রাখা হয়। খবর মেলার দীর্ঘ দুঘন্টা পর বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক ও অন্য কর্মীরা এসে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
স্থানীয় বাসিন্দা অজিত রাম মন্ডল বলেন, বাইরে থেকে দুবার টিপলেই মিটারের ইউনিট দেখা যায়। কিন্ত ওই বিদ্যুৎ কর্মী মিটার খুলে অন্তত ১৫ বার বোতাম টিপছিল। জানতে চাইতেই সে বলে, আমাদের মিটারের লোড ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য সে এটি দেখছিল। কিন্ত এনিয়ে সে আমাদের কোনো নির্দেশিকা দেখাতে পারেনি। লোড বাড়াতে গেলে আমাদের প্রতিলিপি বা কোনো ডকুমেন্ট দিতে হবে। কিন্ত সেটা করা হয়নি। সুতারাং বে আইনিভাবে মিটারের তথ্য নেওয়া হচ্ছিল বলেই আমরা মনে করে। পরে আধিকারিক সহ অন্য কর্মীরা এসেছিলেন। তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এইভাবে মিটারের তথ্য নেওয়া বা লোড বাড়ানো যাবেনা। এরজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা বা অর্ডার লাগবে।