জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আলুর বন্ড নিয়ে চরম কালো বাজারির অভিযোগ আলু চাষীদের, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় আলু চাষিরা বন্ড হাতে পাননি। সামান্য বন্ড আলু চাষীদের হাতে আসলেও বেশিরভাগ বন্ড ফোরেদের হাতে গিয়েছে বলে অভিযোগ আলু চাষীদের। ২০০০ টাকার বন্ড ব্ল্যাকেট ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন এক আলু চাষী। প্রশাসন নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ডেটের বন্ডের দুদিন আগেই বন্ড দেওয়া শেষ হয়েছে বন্ড হাতে না পাওয়া পর্যন্ত চাষিরা আলু মাঠ থেকে তুলে স্টোর করার ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না। আলুর বন্ড হাতে পাওয়ার পর চলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে আলু তোলার কাজ। অভিযোগ কোন স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ১৭ তারিখের আলুর বন্ডের কাগজে ১৮ তারিখ আলু স্টোর করতে না দিয়ে আলু চাষীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন
গাড়ি ভাড়া করে স্টোরে আলু নিয়ে গিয়ে তার স্টোরে রাখতে না পেরে চরম সংকটে পড়েছেন আলু চাষিরা। বেলাকোপা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহিতনগর বানিয়াপাড়ার আলু চাষী মৃণাল রায় ৯ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন উৎপাদিত সম্পূর্ণ আলু রাখার মতন বন্ড স্টোর থেকে সংগ্রহ করতে না পেরে ব্ল্যাকে সংগ্রহ করেছেন তিনি ২০০০ টাকার বন্ড ১৬ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি। কুইন্টাল প্রতি ৬০০ টাকা দরে আলু স্টোরে ঢোকাচ্ছেন তারা বাজারেও প্রায় সমান মূল্য আলুর। ধার করে আলু চাষের খরচ জোগাড় করেছেন তারা দাম যদি না বাড়ে তাহলে তাদের চাষের খরচ উঠবে না। বউ বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে দেয়ে ঋণশোধ করতে হবে তাদের। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে আলু চাষে উৎসাহ হারাবেন কৃষকরা। শহরের পার্শ্ববর্তী অন্যান্য কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার গাড়ির ভিড় লক্ষ্য করা না গেলেও বন্ড নিয়ে কালোবাজারি অভিযোগ ওঠা বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গঙ্গা কোল্ড স্টোরেজ যেখানে বন নিয়ে অশান্তির জেরে পুলিশকে লাঠিচার্জ ও কাদানী গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়েছিল সেখানে গিয়ে দেখা যায় স্টোরের বাইরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আলু বোঝাই ছোট গাড়ি। স্থানীয় আলু চাষীদের অভিযোগ এই কোল্ড স্টোরেজে মোট ক্যাপাসিটির মাত্র কুড়ি শতাংশ বন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মাধ্যমে বন্টন করা হয়েছে বাকি সবটাই কালো বাজারি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবছর সদর ব্লকের ৫৬৫০ সেক্টর জমিতে ও সমগ্র জলপাইগুড়ি জেলায় ৩৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে মোট উৎপাদিত আলুর কিছুটা বাজারে বিক্রি করার পর সবটাই স্টোর করার মতন ক্যাপাসিটি জেলার কোল্ড স্টোরেজগুলিতে থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণীর স্টোর কর্মচারী, পরিবহন মালিক ও শাসক দলের নেতাদের মদতে স্থানীয় ফোরেরা অযথা স্টোরে আলু ঢোকাতে সমস্যার সৃষ্টি করে আলু চাষীদের।
আলুর বন্ড নিয়ে চরম কালো বাজারির অভিযোগ আলু চাষীদের।

Leave a Reply