কাজ বাবদ বকেয়া অর্থের প্রয়োজনে টাকা চাইতে গিয়ে হেনস্থার অভিযোগ।

0
248

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা; ১১এপ্রিল: – দিনমজুর পরিবার।স্বামী নিরুদ্দেশ। অন্যের জমিতে কাজ করে চলে সংসার। ছেলে ভিন রাজ্যের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করছিল নর্দমা পরিষ্কারের। সেই কাজ বাবদ এখনো বকেয়া রয়েছে টাকা।অর্থের প্রয়োজনে টাকা চাইতে গিয়ে হেনস্থার অভিযোগ। অভিযোগ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পোশাক ছিড়ে দিয়ে মহিলাকে মারধর করা হয়েছে। কোনক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচান ওই মহিলা।এমনকি ওই মহিলার দাবি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কোন প্রতিবাদ করেন নি। যদিও ঠিকাদার এবং পঞ্চায়েত সদস্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেজুরবাড়ি গ্রামের ঘটনা। মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা কল্পনা মন্ডল। স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।দিন আনে দিন খাওয়া পরিবার। কল্পনা দেবী লোকের জমিতে দিনমজুরি করেন।ছেলে বরুন মন্ডল দিল্লিতে গিয়ে ঠিকাদারের অধীনে নালা পরিষ্কারের কাজ করেছিল। সেই কাজ বাবদ বকেয়া ছিল টাকা।স্বাভাবিক ভাবেই অভাবের সংসারে অর্থের প্রয়োজন।তাই টাকা চাইতে খেজুর বাড়িতে ঠিকাদার বিমল দাসের কাছে যান তিনি।অভিযোগ টাকা না দিয়ে আশেপাশের ঠিকাদারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ঝগড়া শুরু করে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।কল্পনা দেবি প্রতিবাদ করতে গেলে শুরু হয় মারধোর।কিল,চর ঘুষি,মেরে পরণের বস্ত্র পর্যন্ত ছিড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সেখান থেকে পালিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করেন তিনি।তারপরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঠিকাদার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি জানিয়েছেন বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।তার সঙ্গে ওনার কোনো বিবাদ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন তার মধ্যস্থতাতেই টাকা দেওয়া হয়েছে।কোন রকম বিবাদ বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

অভিযোগকারী কল্পনা মন্ডল বলেন, ছেলে দিল্লিতে গিয়ে নালার কাজ করেছিল। ওর প্রাপ্য টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে মারধর করা হলো। পঞ্চায়েত সদস্য সেই সময় সুবিচার করলো না। আমার স্বামী নেই আমরা অসহায়। এর সুবিচার চাই।

ঠিকাদার বিমল দাস বলেন, আমার সঙ্গে তার কোনো রকম বিবাদ হয়নি।আমার কাছে টাকা পেত চাইতে এসেছিল। রাস্তায় কোথাও কিছু হয়ে থাকলে সেটা জানিনা।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন দাস বলেন, ওই ঠিকাদারের সঙ্গে তার কিছু হয়নি।ঠিকাদার আমার সামনে থেকে ৯ হাজার টাকা দিয়েছে।এখন আমি উপস্থিত থেকে তাকে টাকা পাইয়ে দিলাম এটাই কি আমার অপরাধ হয়ে গেল।

ওই মহিলার স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।প্রচন্ড অভাবের সংসার।ছেলে ভিন রাজ্যে নালা পরিষ্কারের কাজ করেছে মানে তাদের অর্থের প্রচন্ড দরকার।তাই তাদের পরিশ্রমের ন্যায্য টাকা তারা চাইবে।এক্ষেত্রে টাকা চাইতে গিয়ে যদি তাকে মারধর করা হয় তার অত্যন্ত অন্যায়।তার অভিযোগ যদি সত্যি হয় সে ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এমনটা দাবি এলাকাবাসীর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here