ধর্মের নামে নয় কাজের নিরিখে ভোট দিন’, অভিষেকের নিশানায় বিজেপি।

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়দানে তৃণমূলে। কোচবিহার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার আজ দ্বিতীয় দিন।সেই দ্বিতীয় অনুষ্ঠিত হয় কোচবিহারের ঘুঘুমারি কদমতলার এলাকায়। ওই সভার শুরুতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন অভিষেক।

এদিন তিনি বলেন,’আপনারা ধর্মের নামে ভোট দিয়েছিলেন, আপনারা রামমন্দিরের নামে ভোট দিয়েছিলেন, আপনারা ভোট দিয়েছিলেন মোদীজির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখে। আর এখন আপনারা কী দেখছেন? আপনার বাড়িতে ছাদ নেই, আপনার পাড়ার রাস্তার টাকা মোদী আটকে দিয়েছে। কিন্তু রামমন্দির হচ্ছে। আগামীদিনে ধর্মের নামে ভোট নয়। ভোট মানুষের ন্যায্য অধিকারকে সামনে রেখে করতে হবে। টিভি খুললেই দেখছেন মোদীজির ৫৬ ইঞ্জি ছাতি আর হাতির শুঁড়ে হাত বোলাচ্ছেন। আপনি যদি ধর্মের ভিত্তিতে ভোট দেন, তাহলে ধর্মের ভেদাভেদ হবেই। আর যদি উন্নয়নের ভিত্তিতে ভোট দেন, উন্নয়ন হবে।
তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, ‘বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

এদিন বিজেপি বা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বলেন,মোদী যবে থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কোচবিহারে একটা পর্যালোচনা বৈঠকও করেনি বিজেপি। যদি এখানে কোথাও করে থাকে, তাহলে আমি এখানে যাত্রা বন্ধ করে দেব। সেখানে আমি পা রাখব না। যদি কেউ দেখাতে পারে ৯ বছরে একটাও মিটিং করেছে বিজেপি, সেখানে আমি ভোট চাইতে যাব না।

তিনি ওই সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আরও বলেন, ২০১৯ কিংবা ২০২১এ যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, প্রথমে ৯ টার মধ্যে ৭টায় হেরেছিলাম,পরে দিনহাটা উপনির্বাচনে আমরা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ব্যবধানে সেটি জিতেছি। আজ ৯টা বিধায়কের মধ্যে ৬ বিধায়ক বিজেপি। কিন্তু একদিন দেখান বিধানসভায় গিয়ে আপনাদের স্বার্থে একজনও কেউ প্রশ্ন করেছেন? আপনাদের এই কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক গলায় গেরুয়া উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় গিয়ে এক মিনিটের মধ্যে ওয়াকআউট করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কলকাতায় গিয়ে ফুর্তি করছেন। এই বিধায়ক নির্বাচিত করেছিলেন?

এর পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিক কে কটাক্ষ করে বলেন,কোচবিহারে আপনারা যে সাংসদকে নির্বাচিত করেছিলেন,তিনি দুটো মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন,তিনি যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী। সেই স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে বিএসএফ। বিএসএফ কীভাবে কোচবিহারের মানুষের ওপর, রাজবংশীদের ওপর অত্যাচার করেছে, আপনারা দেখেছেন। এটাই কোচবিহারের পাওনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *