সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুজাতা সাহা।

0
139

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—– ২০১৭ সালের বন্যা ত্রান দুর্নীতি নিয়ে সর্ব প্রথম যদি কেউ ব্লক প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে থাকেন তিনি হলেন তৃনমূল নেত্রী তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুজাতা সাহা।অল্প দিনের মধ্যেই প্রকৃত অভিযুক্তদের নাম উঠে আসবে এবং শাস্তি পাবে।আইনত থানার আইসি কোনো মতেই তার নাম চারশিটে দিতে পারবেন না।সোমবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হয়ে এমনই বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুজাতা সাহা।
সম্প্রতি বন্যা ত্রান দুর্নীতি ও সাব মারসিবল নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োল এলাকার বিজেপি ও সিপিআইএম এর কিছু নেতা কর্মী।নেতাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষ।পরে ভুল বুঝতে পেরে তৃনমূল নেত্রী সুজাতা সাহার বাড়িতে গিয়ে সব খোলাসা করলেন।উল্লেখ্য,সম্প্রতি ২০১৭ সালে মালদা জেলায় বন্যা ত্রান দুর্নীতি তদন্তে ক্যাগ কে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট।আট সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে ক্যাগ কে।তদন্তে আসার আগেই বিরোধীরা সরব হয়ে উঠেছেন।অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বাম,কংগ্রেস ও বিজেপির নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।এমনকি কোনোরূপ প্রমাণ ছাড়াই তৃনমূল নেত্রী সুজাতা সাহার নামে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বদনাম রটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।জানা গেছে,রাজ্য সরকার মালদা জেলায় ১২ টি ব্লকের ১০২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য।হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে তিন দফায় ১৩ কোটি ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে ২০ কোটি টাকা দেয় রাজ্য সরকার।সেই টাকা গুলি বন্টনের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির ১০ জন সদস্যকে নিয়ে স্থায়ী সমিতি গঠন করেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক প্রশাসন।কিন্তু সেই তালিকায় নাম ছিল না সুজাতা সাহার।তাঁর সই জাল করে টাকা বন্টন করে দিয়েছিলেন ওই ১০ জনের স্থায়ী সমিতি।তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৩ টি পরিবারের নাম ব্লকে জমা দিয়েছিলেন কিন্তু টাকা পেয়েছিল মাত্র ৩৮ জন।সই জাল করে যারা তার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে এসডিও,ডিএম ও এসপি র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং তিনি সত্যের লড়াই করে উপযুক্ত প্রমাণ স্বরূপ কাগজ দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বেল পেয়েছেন।অপরদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা অশিক দাস জল দেওয়ার নাম করে বড়োল বাজারে এলাকার মানুষকে ডেকে বিজেপির দলীয় পতাকা ধরিয়ে বিক্ষোভে সামিল করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here