কেন আসেননি ডিএম-এসপি,ময়নার বাকচা গ্রামে পৌঁছেই পুলিশকে ধমক জাতীয় এসসি কমিশনের।

0
144

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রামে পৌঁছেই বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে তুলোধোনা করলেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। কেন তাঁর পরিদর্শনের সময় এসপি ও ডিএম ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেই, তুললেন সেই প্রশ্ন!
বৃহস্পতিবার সকালে ময়নার বাকচা গ্রামে পৌঁছন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। যেখান থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ মিলেছে সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারপরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের ধমক দেন। কেন বিজয়কৃষ্ণবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়নি, কেন দেহ উদ্ধারের পরেই মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন অরুণ হালদার। ডিএম এসপি কেন ঘটনাস্থলে হাজির হননি, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বলেন সবাইকে দিল্লিতে তলব করবেন তিনি। এই দিকে বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের দু’দিন পরেও খুনিরা ধরা না পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের দু’দিন পরেও খুনিরা ধরা না পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে ময়নার বলাইপন্ডার মেয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মিলনকে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হচ্ছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। বিজয়কৃষ্ণর গ্রাম গোড়ামহলেরই বাসিন্দা মিলন। বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে প্রথম গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মিলন ভৌমিক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নার বলাইপন্ডার মেয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মিলনকে। আপাতত বাকি হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, বিজয়কৃষ্ণর গ্রাম গোড়ামহলেরই বাসিন্দা মিলন। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। কেন দেহ নিতে দেরি তা নিয়ে বুধবার রাত থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকালেও চলে বিক্ষোভ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here