বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপিকে কমানোর জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল, দাবি পরিবারের। অন্যদিকে দুই দিন ধরে ছেলে নিখোঁজ থাকায় আতঙ্কিত গোটা পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত পন্ডিতপুর এলাকায়। জানা যায় ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত ধুবুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পন্ডিতপুর এলাকার বিজেপি প্রার্থী সঙ্গীতা মন্ডল। তার দেওর অষ্টম মন্ডল। অষ্টম মন্ডল ওই এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এবছর তার বৌদি বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করছেন। সেই কারণেই তাদের যাতে দমিয়ে রাখা যায় এবং আতঙ্কিত করা যায় এই ঘটনা। গত পাঁচ তারিখে রেশন তুলে এনে সে সন্ধ্যা নাগাদ দলীয় প্রচারে বের হয়েছিলেন। তারপরে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপরে ই পরিবারের তরফ থেকে ধুবুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি অষ্টম মন্ডলের। তাই চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার পরিবারের।

এ বিষয়ে ওই এলাকারই এক বিজেপি কর্মী পরিমল মন্ডল বলেন, গত পাঁচ তারিখ সন্ধ্যায় সে পাশের এলাকায় ঘোষপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। প্রচার ছেড়ে এসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে সে আর বাড়িতে ফেরেনি আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের ধারণা যেহেতু এই এলাকায় বিজেপি শক্ত ঘাঁটি সেই কারণে ই তারা বিজেপিকে দবানোর জন্য এবং তার বৌদিকে ভয় দেখানোর জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অবিলম্বে আমরা চাই অষ্টম মন্ডল সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসুক।

অন্যদিকে নিখোঁজ বিজেপি কর্মী অষ্টম মন্ডলের মা উরফী মন্ডল বলেন, গত পাঁচ তারিখে ছেলে বাড়ি থেকে প্রচারের নাম করে বেরিয়েছিল। কিন্তু সে আর বাড়ি ফেরেনি। যেহেতু আমার ছেলে বিজেপি করে সেই কারণে তৃণমূল আছে তো দুষ্কৃতিরায় তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। প্রশাসনকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমি চাই আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় প্রশাসন বাড়ি ফিরিয়ে আনুক।

যদিও পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কি রহস্য রয়েছে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *