ভোটে হোক বা পুননির্বাচন কোন কিছুতেই সন্ত্রাস পিছু ছাড়ল না দক্ষিন দিনাজপুর জেলাতে।

0
262

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোটে হোক বা পুননির্বাচন কোন কিছুতেই সন্ত্রাস পিছু ছাড়ল না দক্ষিন দিনাজপুর জেলাতে। শনিবার ও যেমন শান্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর অশান্ত কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশ, এমনকি কোথাও সিভিক দিয়ে ভোট করানো হয়েছিল শুধু একক ভাবে শাসক দলেত সন্ত্রাস হুমকি আর ভয় দেখিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলে বিজেপি সহ অনান্য বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছিল।আজ পুননির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বুথগুলিতে ভোট করালেও বাইরে শৃখ্যলা রক্ষায় রাখা হয়েছিল সেই রাজ্য পুলিশকে। যার ফলে তৃনমুলের সন্ত্রাস আগের ভোটেও যা ছিল পুননির্বাচনেও সন্ত্রাসের চিত্রটা এক বজায় থাকল বলে বিরোধীদের অভিযোগ।বিরোধীরা যতই এবারের পঞ্চায়েত ভোটকে ভোটের নামে প্রহসন বলে আখ্যা দিক না কেন। তৃনমুল শিবির কিন্তু এসব অভিযোগ ফুৎ করে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে বিরোধীদের সংগঠন নেই, মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে বলে এসব অভিযোগ তুলছে।
যদিও তাহলে পুননির্বাচন করতে হচ্ছে কেন এই প্রশ্নের কোন উত্তর তাদের কাছ থেকে মেলেনি।
যদিও আজকে রাজ্যের অনান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় ১৮ টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট পর্ব চলছে। তার মধ্যে গংগারামপুরে হচ্ছে ৮ টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট। আর এই গংগারামপুরের ভোটকে ঘিরেই অশান্ত ছড়িয়েছে জেলায়। ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে শুনতে হয়েছে গোব্যাক স্লোগান, পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে। সবটাই হয়েছে পুলিশের সামনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। পুলিশ নিরব দর্শক মাত্র। প্রতিবাদে সুকান্ত মজুমদার ও রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। উত্তেজনা ছড়ায়। আর এসব ভয় ভীতির পরিবেশে ভোট দাতারা আতংকে আর ভোট মুখি হতে চায় নি। সেদিক দিয়ে বিরোধীদের শপক্তঘাটি রাঘবপুর অনায়াসে নিজেদের দখলে রাখল শাসক শিবির।
অপরদিকে সাধারন নাগরিকরাও এই ভোট দেখে বিতশ্রদ্ধ। তারা চায় এই রক্কতক্ষয়ি ও সন্ত্রাসের ভোট বন্ধ হোক তাতেই যেন রাজ্যের মংগল।