নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মহিলা রেস্টুরেন্টে ঢুকে তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের দাদার তাণ্ডব, মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ এবং রেস্টুরেন্টের মালিক কে মারধর। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার একজন, মূল অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রফুল্লনগর এলাকায়। জানা যায় নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রফুল্লনগর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রেস্টুরেন্টটি মূলত মহিলা পরিচালিত। সেখানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন মহিলা কাজ করেন। অভিযোগ গতকাল রাতে আনুমানিক দশটা নাগাদ যখন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার সময়, ঠিক তখনই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সুদীপ প্রামাণিকের দাদা অভিযুক্ত অমৃত প্রামানিক। এবং তার সঙ্গে ছিলেন ওই এলাকারই তার সঙ্গী নারায়ণ ঘোষ। অভিযোগ তারা দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তারা দাবি করে নির্দিষ্ট সময় পার হলোও রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে হবে। এই নিয়ে শুরু হয় ওই রেস্টুরেন্টের কর্মীদের সঙ্গে বচসা। অভিযোগ মহিলা কর্মীদের ওপর বারবার তেড়ে আসেন অভিযুক্ত অমৃত প্রামানিক। ঘটনাস্থলে রেস্টুরেন্টের মালিক গেলে তাকে ধরে মারধর করা হয়। গতকাল রাতেই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে শান্তিপুর থানার ফুলিয়া ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় রেস্টুরেন্ট এর পক্ষ থেকে। এরপরই তদন্ত নেমে মূল অভিযুক্তের সঙ্গী নারায়ণ ঘোষ কে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত অমৃত প্রামানিক পলাতক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারায়ণ ঘোষ বলেন, আমি যখন ঘটনা ঘটে তখন সবাইকেই ঠেকিয়েছি। আমার কোন দোষ ছিল না। যেহেতু রেস্টুরেন্টের তরফ থেকে আমার বাইকের চাবি নিয়ে নেওয়া হয় সেই কারণে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। এরপরই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের মালিক অচিন্ত্য বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার পর রেস্টুরেন্টের মহিলা কর্মীরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কাজে আসতে চাইছে না। যেহেতু এই রেস্টুরেন্ট এর ওপর নির্ভর করেই ১০ থেকে ১৫ টি পরিবার চলে সেই কারণে আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যাতে সঠিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ব্যবসা চালাতে পারি।
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply