পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে বাম কংগ্রেস জোট ও তৃনমূলের মধ্যে সংঘর্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে বাম কংগ্রেস জোট ও তৃনমূলের মধ্যে সংঘর্ষ।জোট প্রার্থীদের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃনমূলের বিরুদ্ধে।দু পক্ষই একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে পঞ্চায়েতের ভেতরে।দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ে।শেষমেষ পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন স্থগিত করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।এরপর কবে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া হবে সেটা নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেবে এমনটাই প্রশাসনিক সূত্রে খবর।শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন তৃণমূলের ৮ জন মেম্বার।আহত অবস্থায় তাদের কে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় এবং প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে আজ ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন।
সেখানে প্রধান গঠন নিয়ে জোটের প্রার্থীদের মধ্যেই গন্ডগোল বেধে যায়। জোট নেতৃত্বের অভিযোগ,এই গন্ডগোলের মধ্যেই বোর্ড গঠন ভেস্তে দিতে উপস্থিত থাকা তৃণমূলের মেম্বাররা জোটের প্রার্থীদের দিকে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন।তার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে ভাঙচুর চালান। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যন্ত ভেঙে দেন।পাশাপাশি সরকারি কাগজপত্র ছিড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।যদিও পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য,জোটের প্রার্থীরা প্রধান গঠন নিয়ে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করতে করতে পঞ্চায়েতের ভেতরে থাকা শাসকদলের নয় জন প্রার্থীর দিকে তেরে যায় এবং তাদেরকে ব্যাপক মারধর করে। এই মারধরের জেরে তৃণমূলের আটজন প্রার্থী ভয়ানকভাবে আহত হয়েছে বলে দাবি শাসকদলের নেতৃত্বে।তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।বোর্ড গঠনের সময় দুই পক্ষের গন্ডগোলের জেরে ভেস্তে যায় পঞ্চায়েত গঠন প্রক্রিয়া।সিপিএমের অভিযোগ পরিকল্পনা করেই বোর্ড গঠন ভেস্ত দেওয়ার জন্যই তৃণমূল এই গন্ডগোল করেছে।

#মালদা