পরপর দুটি সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠেছে বরুণের মা বাবার।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার কালীনারায়নপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগরের বাসিন্দা বরুন বিশ্বাস। সূর্যের উদ্দেশ্যে যে আদিত্য মহাকাশযান পাঠানো হলো সেখান নদিয়া জেলার কালীনারায়নপুরের বাসিন্দা বরুণ বিশ্বাস যুক্ত ।ছোট বেলায় রাধানগর গ্রামে এডুকেশন স্কুল ও বীরনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা, এরপর বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, তারপরে কলকাতা থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করা। বিটেক নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন হলদিয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে। আবারো সেখানেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে জীবনের বড় সাফল্যের পথে এগিয়ে যায় বরুণ।

গত ১০ বছর আগে ইসরোতে কাজের সুযোগ পান তিনি, সেখানেই চন্দ্রযান তিনের বিক্রম লেন্ডারের ট্র্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহূত ১৮ এম ডি স্পেস টেলিমেটি নেটওয়ার্ক দায়িত্বে ছিলেন বরুণ। এবার সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে চলেছে আদিত্য এল ওয়ান, সেখানেই তার ভূমিকা রয়েছে ট্রাকিং সম্বোধীয় কাজে। স্বভাবতই বরুনের পরপর দুটি সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠেছে বরুণের মা বাবার। বাবা জহরলাল বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই টেকনিক্যাল বিষয়ে বরুণের ঝোক ছিল বরাবরই। আজকে ছেলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। অন্যদিকে বরুনের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা গ্রামের মানুষ। তবে চন্দ্রযান তিন যখন ভারতের মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তখন থেকেই টিভির পর্দায় চোখ ছিল গোটা গ্রামের মানুষের। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন সূর্যের উদ্দেশ্যে মহাকাশ পাড়ি দেবে আদিত্য এল ওয়ান আর সেই অপেক্ষাতেই অপেক্ষায় রয়েছে গোটা গ্রাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *