অসহায় ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেজিনা বিবি’র পাশে দাড়াল সব খবর পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়া: – একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নিজের প্রাপ্য ১০০০ টাকা ভাতা তুলতে গিয়েছিলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেজিনা বিবি। সারা মাস প্রতীক্ষা করে ছিলেন এই ১০০০ টাকার জন্যে কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারলেন আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না। প্রতি মাসের একমাত্র সম্বল এই ১০০০ টা টাকা। এটা ছাড়া আর অন্য কোন আয়ের উৎস নেই রেজিনা বিবির। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের করিশুন্ডা গ্ৰামের বাসিন্দা রেজিনা বিবি বুধবার সকালে চোখের জল নিয়ে হতাশ হয়ে ব্যাংক থেকে এক আত্মীয়ের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। আত্মীয় বাড়ি থেকে আমাদের সাংবাদিক আবদুল হাইয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা তুলে ধরেন ৬০ বছরের মলিলা।রেজিনা বিবির কান্না শুনে আমাদের সাংবাদিক কথা দেয় আমি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেখা করছি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে স্বামী মারা গেছেন বহুদিন। এইরকম অবস্থায় ১০০০ টাকা ছাড়া কি ভাবে সংসার চলবে? সাথে সাথে সাংবাদিক এই ঘটনাটি সুমন ভুঁইয়া দাদাকে খুলে বলেন। আমাদের সাংবাদিক রেজিনা বিবিকে সঙ্গে করে নিয়ে সারা মাসের চাল, ডাল এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কিনে ঘরে দিয়ে যান তিনি। সকালের দুঃখ যেন নিমেষে মুছে গেল।


বাড়িতে অভাবের চিত্র অত্যন্ত স্পষ্ট। কখনও কখনও এক বেলা খেয়ে কাটাতে হয় তাঁকে। ১০-১২ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই কষ্টে দিন কাটছে রেজিনা বিবির। মাত্র ১০০০ টাকার ওপর ভরসা করেই চলে সারা মাস। আর সেই টাকাটাও আটকে গেল আঙ্গুলের ছাপ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে। এই সমস্যা নতুন নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে বহু খেতে খাওয়া মানুষকেই আঙ্গুলের ছাপ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগতে হয়। আপাতত চেয়ে চিন্তে চলছে জীবন। প্রতিবেশীরাও কখনও কখনও বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।


তবে মানবতা এখনও জীবিত আছে। রেজিনা বিবির এই ঘটনাটি সেটারই প্রমাণ দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *