চিত্ত রায় ও বিসাধু বর্মনকে স্মরণ করতে শহীদ দিবস পালন করল গ্রেটার।

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ ২০ সেপ্টেম্বর। এই দিনটিতে তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশের গুলিতে দুজন গ্রেটার সমর্থক চিত্ত রায় ও বিসাধু বর্মন শহীদ হন। সেই শহীদদের আত্মার শান্তি কামনার জন্য কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করছেন দি গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশন। এদিনের এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশী বদন বর্মন সহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য কমিটির সদস্যরা। জানা গেছে, ১৯৪৯ সালের ২৮ অগাস্ট ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে কোচবিহারের মহারাজা জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদূরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি ভারত ভুক্তি চুক্তি নামে পরিচিত। সেই চুক্তি মোতাবেক ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কোচবিহার ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার গ শ্রেণীর রাজ্যের দাবিতে ২০০৫ সালে ২০ সেপ্টেম্বর আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দুই গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মী সমর্থকের। মৃত ওই দুই মৃত কর্মীর নাম বিশাদু বর্মন ও চিত্ত রায়। তাদের বাড়ি কোচবিহার ২ নং ব্লকে। ওই মৃত দুই কর্মীকে স্মরণ করতে কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করল গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশন। আজকের ওই কয়েক হাজার সমর্থক রাসমেলা ময়দানে একত্রিত হয়।
এ বিষয়ে গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশী বদন বর্মন বলেন, গত ২00৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পৃথক রাজ্যের দাবিতে কোচবিহারে আন্দোলন করার সময় তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশের গুলিতে শহীদ হন গ্রেটার কর্মী সমর্থক চিত্ত রায় ও বিসাধু বর্মন। এই শহীদদের আত্মার শান্তি কামনাতেই আজকের এই কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করা হচ্ছে। এই জনসভার মধ্য দিয়ে চিত্ত রায় ও বিশাদু বর্মনে আত্ম বলিদান। কারন তাদের উদ্দেশ্য ছিল কোচবিহার রাজ্য ভারত ভুক্তি চুক্তি মোতাবেক বৃহত্তরও কোচবিহার বাসীর যে সাংবিধানিক অধিকার, কোচবিহার গ শ্রেণী রাজ্য সেটাই আদায়ের জন্য সেদিন গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অনশন চলাকালীন তৎকালীন বামফ্রন্টের রাজ্য সরকারের পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়েছিল। তারা ভেবেছিল এরকম গুলি চালিয়ে গ্রেটার সমর্থকদের আন্দোলন বন্ধ করে দেবে। তাই আজ এই জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা সকলকে জানিয়ে দিতে চাই যে, গুলি করে রাজবংশীদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যায় না। আমরা ভারত ভুক্তির চুক্তি অনুযায়ী যতদিন কোচবিহার রাজ্যকে গ শ্রেণি রাজ্যে হিসেবে পাবো না ততদিন আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *