পুজোর কয়েকটা দিন ঘুরে আসুন পুরীর জনপ্রিয় দর্শনীয় কিছু স্থান।

0
1543

পুরী ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এই শহর পুরী জেলার সদর শহর এবং বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত। পুরী হিন্দুদের চারধামের অন্যতম একটি ধাম হিসেবে বিখ্যাত। প্রাচীনকালে পুরী শ্রীক্ষেত্র এবং নীলাচল নামে পরিচিত ছিল। এই শহরে হিন্দুদের অনেক মন্দির ও মঠ আছে।
এই শহরের ৮০% অর্থনীতি জগন্নাথ মন্দিরের ধর্মীয় গুরুত্বতার উপর নির্ভর করে। ছুটির দিনগুলোর পাশাপাশি প্রতি বছর রথযাত্রা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসে।

শুধু পুরীতে দর্শনীয় স্থান গুলো হলো-
১। সমুদ্র
২। পুরীর জগন্নাথ মন্দির
৩। জগন্নাথ দেবের মাসী বাড়ি
৪। ইস্কনের মন্দির ( কাকাতুয়া খাজার দোকানের কাছে) .
৫। হরিদাস এর সমাধি আশ্রম( ইস্কনের মন্দির এর বিপরীতে)
৬। ভারত সেবাস্রম সঙ্ঘ ও তার মিউজিয়াম
৭। শঙ্করাচার্জের মঠ (গোবর্ধন মঠ)
৮। গম্ভীরা বা শ্রী রাধাকান্ত মঠ (শ্রী চৈতন্য দেব এখানে থাকতেন)
৯। সিদ্ধ বকুল
১০। গৌরবিহার আশ্রম (মাতাজির আশ্রম)
১১। কুলদানন্দ ব্রমহচারির আশ্রম
১২। বিজয়কৃষ্ণ ব্রমহচারির সমাধি আশ্রম
১৩। চন্দন সরোবর (জগন্নাথ দেবের পিসি বাড়ি)
১৪। লোকনাথ
১৫। ভার্গবি নদীর মোহোনা
১৬। সোনার গৌরাঙ্গ
১৭। তোতাপুরি আশ্রম
এ ছাড়াও পুরীর জগন্নাথ মন্দির এর চত্বরে অনেক কিছু দেখার আছে।

ঘুরে আসুন পুরীর কোয়কটী দর্শনীয় স্থান।

গোবর্ধন মঠ

গোবর্ধন মঠ হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরে অবস্থিত একটি হিন্দু মঠ। এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে আদি শঙ্কর যে চারটি প্রধান মঠ স্থাপন করেছিলেন, তার একটি হল এই গোবর্ধন মঠ। এই মঠে জগন্নাথ (ভৈরব) ও বিমলা (ভৈরবী) পূজা হয়। এই মঠের মহাবাক্য হল “প্রজ্ঞানম্‌ ব্রহ্ম”। মঠের গোবর্ধননাথ কৃষ্ণ ও অর্ধনারীশ্বর শিবের বিগ্রহ আদি শঙ্কর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে বৈদিক ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য আদি শঙ্কর যে চারটি প্রধান মঠ স্থাপন করেছিলেন, তার মধ্যে একটি হল গোবর্ধন মঠ। এই চারটি মঠের দায়িত্বে ছিলেন আদি শঙ্করের চার প্রধান শিষ্য পদ্মপাদ, হস্তামলক, সুরেশ্বর ও তোটক। এই চারটি মঠ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের চারটি প্রধান ধর্মশিক্ষা কেন্দ্র। চার মঠের মঠাধ্যক্ষকে “শঙ্করাচার্য” উপাধিতে সম্বোধন করার প্রথা রয়েছে। তাঁরা দশনামী সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ধর্মগুরু এবং অদ্বৈত বেদান্তের রক্ষক। এই চারটি মঠ পুরী (ওড়িশা), শৃঙ্গেরি (কর্ণাটক), দ্বারকা (গুজরাত) ও জ্যোতির্মঠে (উত্তরাখণ্ড) অবস্থিত।

পদ্মপাদ গোবর্ধন মঠের প্রথম মঠাধ্যক্ষ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে এই মঠের যোগ ঐতিহাসিক। ১৯২৫ সালে দ্বারকা মঠের প্রধান ভারতীকৃষ্ণ তীর্থ গোবর্ধন মঠের মঠাধ্যক্ষ হন।১৯৬০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর যোগেশ্বরানন্দ তীর্থ মঠাধ্যক্ষ হন। ১৯৬১ সালে তিনিও মারা যান। এরপর ১৯৬৪ সালে ভারতীকৃষ্ণ তীর্থের ইচ্ছাপত্র থেকে নিরঞ্জনদেব তীর্থের নাম উদ্ধৃত করে দ্বারকা মঠের অঘিনব সচ্চিদানন্দ তীর্থ তাঁকে মঠাধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন। ১৯৯২ সালে নিশ্চলানন্দ সরস্বতীকে মনোনীত করে তিনি মঠাধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।

বিমলা মন্দির

বিমলা মন্দির হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দির চত্বরে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। এটি দেবী বিমলার মন্দির। হিন্দুরা এই মন্দিরটিকে একটি শক্তিপীঠ (শাক্ত সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র প্রধান তীর্থগুলির অন্যতম) মনে করেন।

বিমলা মন্দির জগন্নাথ মন্দির চত্বরের ভিতরের অংশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এবং জগন্নাথের মিনারের পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এই মন্দিরের পাশেই পবিত্র জলাধার রোহিণীকুণ্ড অবস্থিত। মন্দিরটি পূর্বমুখী এবং বেলেপাথর ও ল্যাটেরাইটে নির্মিত। এই মন্দির “দেউল” স্থাপত্যশৈলীর একটি নিদর্শন। মন্দিরের চারটি অংশ দেখা যায়: বিমান (গর্ভগৃহ-সংবলিত অংশ), জগমোহন (সভাকক্ষ), নাট-মণ্ডপ (উৎসব কক্ষ) ও ভোগ-মণ্ডপ (ভোগ নিবেদনের কক্ষ)। ২০০৫ সালে মন্দিরটি সংস্কার হয়। বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভুবনেশ্বর শাখা এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
বিমলা মন্দিরটি জগন্নাথ মন্দির চত্বরের একটি ছোটো মন্দির হলেও শাক্ত ও তান্ত্রিকদের কাছে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। তারা মূল জগন্নাথ মন্দিরের চেয়েও এই মন্দিরটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তান্ত্রিক মতে, বিমলা জগন্নাথের শক্তি এবং মন্দির চত্বরের রক্ষয়িত্রী। ভক্তেরা মূল মন্দিরে জগন্নাথকে পূজা করার আগে বিমলাকে পূজা করেন। জগন্নাথের প্রসাদ বিমলাকে নিবেদন করার পরেই মহাপ্রসাদ হিসেবে গণ্য হয়। প্রতি বছর আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) উদযাপিত দুর্গাপূজা এই মন্দিরের প্রধান উৎসব।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির 

পুরীর জগন্নাথ মন্দির  একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরটি ওড়িশার পুরী পূর্ব সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত।এই মন্দিরটি একটি বিখ্যাত হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বিশেষ করে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ উপাসকদের নিকট। এটি চারধামের অন্যতম যেখানে সকল ধার্মিক হিন্দুদের জীবনে অন্তত একবার যেতে চান।
মন্দিরটি পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের তৃতীয় ত্রিকলিঙ্গ রাজা অনন্তবর্মণ চোদাগঙ্গা 12 শতকে খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেছিলেন, যেমনটি তাঁর বংশধর নরসিংহদেব দ্বিতীয়ের কেন্দুপাটনা তাম্র-ফলকের শিলালিপি দ্বারা প্রস্তাবিত। অনন্তবর্মণ মূলত একজন শৈব ছিলেন এবং 1112 খ্রিস্টাব্দে উৎকল অঞ্চল (যেখানে মন্দিরটি অবস্থিত) জয় করার পর তিনি বৈষ্ণব হয়েছিলেন । 1134-1135 খ্রিস্টাব্দের একটি শিলালিপি মন্দিরে তাঁর দানকে লিপিবদ্ধ করে। অতএব, মন্দির নির্মাণ অবশ্যই 1112 খ্রিস্টাব্দের পরে শুরু হয়েছিল।
মন্দিরের ইতিহাসের একটি গল্প অনুসারে, এটি দ্বিতীয় অনঙ্গভীম দেব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল : বিভিন্ন ইতিহাসে বিভিন্নভাবে 1196, 1197, 1205, 1216, বা 1226 হিসাবে নির্মাণের বছর উল্লেখ করা হয়েছে। এটি থেকে বোঝা যায় যে মন্দিরের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল বা মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছিল অনন্তবর্মণের পুত্র অনঙ্গভীমার রাজত্বকালে । পূর্ব গঙ্গা রাজবংশ এবং সূর্যবংশী (গজপতি) রাজবংশ সহ পরবর্তী রাজাদের শাসনামলে মন্দির কমপ্লেক্সটি আরও বিকশিত হয়েছিল ।

গুণ্ডিচা মন্দির

গুণ্ডিচা মন্দির , হলো পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যে অবস্থিত পুরী শহরের উত্তর কোণে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির৷ প্রতি বছরে আষাঢ় মাসে পুরী শহরের রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করা হিন্দুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও পূণ্যার্জনের বিষয়৷ গুণ্ডিচা মন্দিরে সারা বছরের অন্য সময়ে লোকসমাগম না হলেও জগন্নাথ, তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলরাম ও কনিষ্ঠ ভগিনী সুভদ্রা রথযাত্রার এই সাতটি পূর্ণদিবস ও যাত্রারম্ভের ও যাত্রাশেষের কিছু সময় ধরে এই মন্দিরেই অবস্থান করেন৷ স্থানীয়ভাবে এটিকে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি বলে অভিহিত করেন এবং বছরের এইকটা দিন গুণ্ডিচা মন্দিরে বেশ জনসমাগম ঘটে৷

গুণ্ডিচা মন্দির জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি বা বাগানবাড়ি নামেও পরিচিত৷ মন্দিরটি একটি সুরম্য বাগানের মাঝে অবস্থিত এবং তা চারিদিকে উঁচু পরিখাবেষ্ঠিত৷ এটি শ্রীজগন্নাথদেবের মূল মন্দির তথা “শ্রীমন্দির”-এর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ মন্দির দুটি “বড় দণ্ড” তথা পুরীর রাজপথের দুই প্রান্তে অবস্থিত এবং এই পথেই শ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রাটি সম্পন্ন হয়ে থাকে৷
মন্দিরটি হালকা ধূসর বেলেপাথর দ্বারা নির্মিত এবং শিল্পগতভাবে দেউলযুক্ত একটি নিপুন কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম প্রকৃৃষ্ট উদাহরণ৷ যুগ্ম স্থাপত্যটি চারটি খণ্ডে বিভক্ত যথা: “বিমান” (মূল স্থাপত্য যা পবিত্রমূর্তি ও গর্ভগৃহ ধারণ করে), “জগমোহন” (সমাবেশ দালান), “নাটমণ্ডপ” (উৎসব মঞ্চ) এবং “ভোগমণ্ডপ” (দেবতাকে ভোগ উৎসর্গের দালান)৷ এছাড়াও মন্দিরটির সাথে একটি সরু পথের মাধ্যমে পাচনশালা যুক্ত৷ মন্দিরটি একটি সুন্দর বাগানের মাঝে অবস্থিত, যা জগন্নাথদেবের বাগানবাড়ী বা ঈশ্বরের গ্রীষ্মকালীন বাগান অপগম নামেও পরিচিত৷ বাগানসহ সমগ্র মন্দিরচত্বরটি উঁটু পরিখাবেষ্ঠিত৷
মন্দিরটির গর্ভগৃৃহের মঞ্চটি সমতল এবং তল থেকে ৪ ফুট উঁচুতে অবস্থিত৷ ১৯ ফুট দীর্ঘ ক্লোরাইড গ্রুপ ও ফাইলোসিলিকেট খনিজ নির্মিত রত্নবেদীর ওপর বার্ষিক অনুষ্ঠানের সময় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করা হয়৷ মন্দিরটির দুটি ফটক রয়েছে৷ পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত দরজাটি মন্দিরের মূল দরজা এবং এই দরজা দিয়েই মূর্তিগুলি রথযাত্রার সময় মন্দিরে প্রবেশ করে৷ মন্দিরের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত দরজাটি “নাকচন দরজা” নামে পরিচিত এবং এই দরজা দিয়ে রথযাত্রার শেষ দিনে মূর্তিগুলিকে পুনরায় রথে চাপিয়ে মূলমন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়৷
আষাঢ় মাসের রথযাত্রার সাতদিন যাবৎ এই গুণ্ডিচা মন্দিরেই জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার আরাধনা করা হয়৷ কিন্তু বছরের অন্যান্য সময়ে মন্দিরটি প্রায় শূণ্য থাকে৷ দেশী দর্শনার্থী বা পর্যটকরা নির্ধারিত প্রবেশমূল্য দিয়ে মন্দিরটি দর্শনের অনুমতি পেয়ে থাকেন৷ বিদেশীদের ক্ষেত্রে, তারা সাধারণত এই মন্দিরে ঢোকার অনুমতি না পেলেও রথযাত্রা চলাকালীন সকলের প্রবেশ অবাধ থাকে৷ মন্দিরটি পুরী জগন্নাথ মন্দিরের পরিচালনা পর্ষদ তথা শ্রীজগন্নাথ মন্দির কার্যালয়ের অধীনস্ত৷ একটি তুলনামূলক ছোটো সেবায়েতগোষ্ঠী সারাবছর মন্দিরটির রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে৷

পুরীর পঞ্চতীর্থ

 

পঞ্চতীর্থ বলতে ভারতের পুরী শহরে অবস্থিত পাঁচটি জলাধারকে বোঝায়। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, পুরীতে তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করতে হলে এই পাঁচটি জলাধারে স্নান করতে হয়। এই পাঁচটি জলাধার হল:

ইন্দ্রদ্যুম্ন কুণ্ড: গুণ্ডিচা মন্দিরের কাছে অবস্থিত। মহাভারতে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের অশ্বমেধ যজ্ঞ ও জগন্নাথ সংস্কৃতির চার প্রধান দেবতার আবির্ভাব বর্ণিত হয়েছে।[৪] এই মহাকাব্যে আছে, কিভাবে সহস্রাধিক গরুর ক্ষুরের চাপে পবিত্র ইন্দ্রদ্যুম্ন জলাধার নির্মিত হয়েছিল। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই জলাধার ব্রাহ্মণদের দান করেছিলেন।

রোহিণী কুণ্ড জগন্নাথ মন্দির চত্বরের মধ্যে বিমলা মন্দিরের কাছে অবস্থিত। এই কুণ্ডকে নারায়ণের বাসস্থান মনে করা হয়। এই জলাধারের কাছে অক্ষয়কল্প বট নামে একটি বটগাছকে পূজা করা হয়। পুরাণ মতে, ব্যাধ জড়শবর দুর্ঘটনাক্রমে কৃষ্ণকে হত্যা করেন এবং তাঁর সৎকার করেন। কৃষ্ণ জড়কে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, তাঁর দেহাবশেষ একটি কাঠের টুকরোয় পরিণত হয়েছে। টুকরোটি সমুদ্র থেকে রোহিণী কুণ্ডে এসে উঠবে। জড়ের সাহায্যে ইন্দ্রদ্যুম্ন সেই টুকরোটি দেখতে পান। এই টুকরোতেই জগন্নাথের মূর্তি নির্মিত হয়।

মার্কণ্ডেয় কুণ্ড হল পুরীর তীর্থ পরিক্রমার প্রথম স্থান।জলাধারটির আয়তন ৪ একর। এর পাশে মার্কণ্ডেয়েশ্বরের মন্দির আছে।

শ্বেতগঙ্গা কুণ্ড নীলাচলের দক্ষিণে অবস্থিত। এই কুণ্ডের পাশে বিষ্ণুর মৎস্য অবতার ও রাজা শ্বেতের মন্দির আছে।

স্বর্গোদ্বার অঞ্চলের সমুদ্রকে “মহোদধি” বলা হয়। এটি একটি স্নানক্ষেত্র।

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here